উল্টে থাকা গরুর শরীর,
লতানো শিকড়ের মতো নামছে,
মাটির গভীরে, মানুষের শরীরে।
মানুষ কি গাছের মতো দাঁড়িয়ে থাকে,
নাকি গরুর দুধের মতো
নিজেকে বিসর্জন দেয় শূন্যে?
গরু কি এক পবিত্র প্রতীক,
যে ধরে রেখেছে ধ্যানের ভার?
মানব শরীর, ভাঙা শিকড়,
জুড়ে গেছে এক অদৃশ্য বন্ধনে।
এই সংযোগ কি ঈশ্বরের কাছে পৌঁছানোর পথ?
নাকি এক মিথ্যে অভ্যাসের ধোঁকা,
যেখানে শিকড় আর ডালপালা
অন্ধকারের ভেতরে ও আলো খোঁজে?
ধ্যান এখানে শব্দহীন,
শুধু রেখার ভাঁজ আর শূন্যতা।
তুমি কি দেখতে পাও সেই গভীরতাকে?
নাকি এটাও ধোঁয়াশার মতো হারিয়ে যায়?