ওপাড়ার রবিলাল লোক ভারী শান্ত
সাত চড়ে রা নেই,লোকে তাই মানত।
চুপটিতে চলে পথ,না ঘাঁটিয়ে কাওকে
অতি বড় সজ্জন, এমনটা পাও কে!
শাক দিয়ে ভাত খেয়ে,যায় রোজ অফিসে
মন দিয়ে খাতা সারে,মাঝে খায় কফি সে।
চুপ করে সব শোনে,মুখে বেশি বলেনা
যাই বলো তাই করে,বিরুদ্ধে চলেনা।
মনটা ভীষণ নরম, গোলগাল মুখটি
নোয়াপাতি গোল ভুঁড়ি,বেশ বটে রূপটি।
মুখে হাসি লেগে থাকে,কভু রাগ করেনা
খরচটা বেশি বলে জুড়িগড়ি চড়েনা।
বৌ মেয়ে ছেলেপুলে এই নিয়ে সংসার
করো কাছে কোনোকিছু দাবিদাবা নেই তার।
মন সাদা ফুরফুরে,গান গায় গুনগুন
খেতে নাকি ভালোবাসে,পানে ভরে কলিচুন।
কাজ করে,গান করে, সাতে পাঁচে থাকেনা
কোনখানে কী ঘটিল,খবর সে রাখেনা।
একদিন কী যে হলো,অঘটন ঘটলো
হট করে বেঁকে বসে রবিলাল চোটলো!
মুখে তার হাসি নেই,চোখগুলো থাকে লাল
ব্যাঁকাটেরা কথা বলে;এতো ভারী গোলমাল!
ভয় নেই ডর নেই,একা পথ চলছে
রোবিলাল খেপে গেছে,সবজনা বলছে।
আজব এ রোগ নাকি অনেকের হয় শুনি
তারা নাকি থামেনাকো,যত করো টানাটানি।
মুঠো নাকি হাত থাকে,মন থাকে শক্ত
ফোটে নাকি ক্ষণে ক্ষণে,টগবগে রক্ত।
বেশ ছিলি রবিলাল,শান্তিতে বাড়িতে,
কেন গেলি অকারণে,মৌচাক নাড়িতে !!