বসে শোনো চুপ করে,তর্কটি কোরোনা
স্থির হয়ে রও দেকি,একটুও নোড়োনা।
হাতখানা দাও দেখি,রেখাগুলো পড়ে নি
সব দেখে বুঝে শুনে হিসেবটা করে নি।
পুঁথিখানা খুলে আমি; বসে আছি সাধে ছাই?
কার ঘটে কিযে লেখা, নিখুঁতেতে বলি তায়।
টানা টানা রেখা দেখে সব আমি বুঝে নি
কার বিষ কিসে কাটে,উপায়টা খুঁজে নি।
আচ্ছা!অনেক হলো! অসলেতে আসা যাক
ঘটে কিবা আছে লেখা,ভালো করে দেখা যাক।

উরি বাবা! এতো দেখি, লেখা আছে পষ্ট;
এই শুরু হলো বলে অতি মহাকষ্ট!
উঁহু উঁহু,শোনো বাপু,লক্ষণ ভালো নয়
সাবধানে থেকো তুমি,কখন যে কিবা হয়।
কাজ কামে ভুল হবে, গালি খাবে বাড়িতে
হয়তোবা দুম করে, পুরে দেবে ফাঁড়িতে।
হট করে কেউ এসে মুলে দেবে কানটি
গালে এসে চড় দেবে,চলে যাবে মানটি।
হেথা সেথা অকারণে,খেতে পারো পিঠে কিল
ভাগ্যটা এত বাজে?! মহা বটে মুশকিল!
শোনো বাপু মন দিয়ে,করছিনা রাখঢাক
তুমি যেন রেডি থাকো,এই বুঝি পড়ে টাক।
এগুলোতো ছোটখাটো, বিপদটা অন্য
টেঁসে তুমি যেতে পারো,নিজ ভুল জন্য।

আরে বাবা!কাঁদো কেন?উঠে কেন চলে যাও!
ভয় নেই;আমি আছি;উপায়টা জেনে নাও।

টিকটিকি লেজ নিয়ে, গলে বেঁধো ঝুলিয়ে
ধুতরোর পাকা বীজ, জিভে নিও বুলিয়ে।
সাতমণ তেল ঢেলে কাঁচকলা পুড়িয়ো
তারপরে ঘোল ঢেলে তেলা মাথা মুড়িয়ো।
মুখে নিয়ে ছেঁড়া চটি,তিনিদিন হাঁটবে
মানো যদি সব কথা তবে তুমি বাঁচবে।

এই দেখ!যাও কোথা? এভাবে কেউ চলে যায়?
পাঁচ আনা দাও আগে,ঝালমুড়ি কিনে খাই।।