তুমিই তো ছিলে!নাকি ছিলে না?
ওই প্রভাত শিশিরের শিয়রে
বুক ভেঁজা কিছু শুকনো জল জ্বেলে
স্তব্ধ ঘড়ির বিস্মৃতি সুরে।
তুমিই ছিলে;কিছু সোনালী স্বপ্ন মনে মেখে,
বিষাদ জ্বালা বুঝে নিতে নিতে
অনায়াসে অপরূপ স্বর্গ করেছিলে দান
আমার ধূসর গন্ধ ভরা ছবিতে।
হ্যাঁ তুমিই!শুধু তুমিই ছিলে
যে ওই সিংহদ্বারের চাবি হাতে নিয়ে
অন্দরে নিঃশব্দে করেছ আহ্বান,
সংকেতের কিছু চিহ্ন দিয়ে।
তুমিই হাওয়ার ভিতরে ভাসতে ভাসতে
নিঃঝুম স্বরে ছুঁয়েছো তপ্ত দেয়াল,
এই ব্যথিত হৃদয়ে জাগিয়ে তুলেছ
চির সবুজের মতো প্রনয়ের খেয়াল।
তুমিই তো ছিলে,শুধু তুমিই ছিলে
নদীর ছল্ ছল্ শব্দের গানে,
সন্ধ্যার সূর্যের দীপ্ত রঙের আলোয়
দুপুর রোদে জ্বলা হলুদ পাতার প্রাণে।