কত যবনিকা গেল চলে
সমুখের ওই পথ ধরে।
আবার কত আসছে ধেঁয়ে
মৃদু মন্দ বাতাস বেঁয়ে।
দেখ,দেখ-কত জোনাকির সাথে
খুনসুটি করে মাথা নেড়ে,
অন্ধকারের হাতে হাত রেখে
কলঙ্ক সারা গাঁয়ে মাখে।
তুমি তো সেই যবনিকা নও!
তুমি স্বচ্ছ আলোর সরোবর,
অম্রকাননের ক্ষূদ্র কুঁড়ি
আমার সন্ধ্যাকালের প্রথম তারা।
তুমি চিরস্থায়ী দুঃখের সলিল,
আমার ঘুম ভাঙানি যমদূত।
যে রাত্রে সমস্ত ব্যর্থ কথা
কবিতার সুর হয়ে ওঠে,
তুমি সেই স্তবকিত রাত্রি;
তুমিই সেই বিবর্ণ হলুদ হাত।
তুমি তো যবনিকা নও!
অস্ফুট কল্পনার সুন্দর কুসুম,
দুঃখের প্রাসাদে করুণশীতল হাঁসি
রক্তমঞ্চের সুখ শয্যার ব্যর্থ স্বপ্ন।
তুমিও যদি সেই যবনিকা হতে!
পরাস্ত হয়ে প্রাণপনে,
আকাশের নীল শান্তি খুঁজে নিয়ে
মেঘের গর্জনের সাথে যেতাম ক্ষয়ে।