সারাদিন পৃথিবীর ছাদে মাথা রেখে-নানান রঙের বাতাস খুঁজেছি,
নিত্য-নতুন বাতাস,শব্দবিহীন বাতাস:কিছু ভীরু বাতাস।
তোমার ভেজা গালে যে গোলাপ পাঁপড়িটি স্পর্শ করেছিল!
তার গন্ধ শুঁকছিলাম,পরিশুদ্ধতার সাথে।
অস্পষ্ট নিকষা রাতে বুকের কাপড় সরিয়ে ডাকলে আমায়-
মিশরের পিরামিডের উষ্ণ ছোঁয়া নিতে,
শীর্ণকায়-ক্লান্ত দেহ মন আমার
অথচ যেতে চেয়েছিলাম-ঘোড়ার লাদির ঝাঁচালো গন্ধ পেরিয়ে।
মুন্ডিহীন গৃহবধূর সযত্নে রাখা আলপনার রেখা
আর তোমার হৃদয়হীন দেয়ালে ছবি আঁকা সমগোত্রীয়ই।
তবুও লজ্জাহীন পরাগ নয়,ভিক্ষা চেয়েছি সুভ্রতার,
এই গোধূলির বেলায় নশ্বরতার হাসি কেন হাসলে?