ঘাসের ডগায় দাঁড়িয়ে থাকে যে আগুন,
তার গর্ভে বেড়ে ওঠে নীরবতার ছায়া।
পৃথিবীর প্রাচীন শাস্ত্রগুলোর বুকে লেখা—
নারী স্তনের বিনিময়ে পায় নিজস্বতা!
নিঃশব্দে প্রবাহিত হয় করের স্রোত,
গর্ভধারিণী যখন হয় শিকার নিজ শরীরের।
নির্বাক পুষ্পদের থরে থরে সাজানো
সেই শহরে, মাটির বুকেও দানা বাঁধে শুল্ক।
অঙ্গের যন্ত্রণা রক্তে মিশে যায়,
সিঁদুরের মতো জ্বলে ওঠে নীলাভ কৃষ্ণতা,
বসন্তের ফুলগুলো ঝরে যায় কালো রাত্রির বেলা।


তোমার স্তন থেকে গড়িয়ে পড়া রক্তের ধারা,
জলাভূমিতে জন্ম দেয় স্বাধীনতার শস্যক্ষেত্র।
দেহের মুদ্রা ফিরিয়ে দিয়ে করের খাজনা চুকাও,
কিন্তু অগ্নিগর্ভ স্তন নয়—
তোমার হাতে উঠে আসে ধ্রুবতারার বাণ।
আকাশ তখন মৌলিকতায় বাঁধা,
প্রকৃতি স্তনের কারুকাজে আবৃত,দান
তবু মেঘের আড়ালে অন্ধকার ভেদ করে
জেগে ওঠে চেতনার নবীন নক্ষত্রপুঞ্জ।
তুমি দাঁড়াও ইতিহাসের খোলা প্রান্তরে—
স্বয়ং বিদ্রোহ হয়ে।

অগ্নি আর জল মিলেমিশে,
অন্তর্নিহিত শূন্যতার মাঝে সৃষ্টি করে অমরত্বের সেতু।
চলমান সময়ে জেগে ওঠে বীজ,
তোমার রক্ত আর জল মিশে যায়
ভবিষ্যতের অনন্ত ক্যানভাসে,
জীবনের গভীর অর্থে।
তোমার নিস্তব্ধতা এখন
বাতাসে ফুলের মতো ফোটে,
অতীতের ক্ষতগুলো প্রাচীন বৃক্ষের মতো শক্ত,
তবু নতুন পাতা গজায়,
নতুন ইতিহাসের আলো ছড়িয়ে পড়ে—
প্রতিটি স্তন আবৃত রাখা স্বাধীনতার কবিতা হয়ে।