তোমার বাসরে হানা দেবো বলে পেতেছি অনেক ফাঁদ
তোমার দুগাল চুমোয় ভরাবো মনে ছিলো তার সাধ
ঠোঁটে ছড়ানো গোলাপের রেণু মৌ মৌ তার ঘ্রাণ
একটি মোহনায় মিলে গেছে দুটি দূর অজানার প্রাণ।
প্রাণের সাথে প্রাণ মিলে যে বেজেছে বাঁশির সুর
মনের কালিমা মুছে গেছে আজ বাধা হলো সব দূর
দূরের অতিথি আরো কাছে আসে বন্ধু তোমার সাথে
দিলের কথক গান গায় আজ হাত রেখে তার হাতে।
তারা ফোটে আজ তোমার খোপায় তারা ফুল মালা গেঁথে
বনের কলিরা ফোটে দেখো আজ তোমার গন্ধ পেতে
বনের পাখিরা কণ্ঠ সাধে না তোমার কণ্ঠ শুনে
সুরে সুরে দেখো প্রেমের মিতালি স্বপ্ন ছন্দ বুনে।
ছন্দ বিনুনি দোল খায় পিঠে টোল খায় চাঁদ গালে
হৃদয়ের কথা নিঃশ্বাসে বাজে হৃদয়ের তালে তালে
সেই তালে দেখো ঝরনাও হল তোমার পায়ের নূপুর
অলস সকালে প্রাণ ফিরে পায় পদ্ম ফোটানো পুকুর।
পুকুরের পানি তোমার ছোঁয়াতে ঢেউ তোলে তালে তালে
দখিনা বাতাসে মেঘ উড়ে যায় আকাশের পালে পালে
হঠাৎ একি পাল খুলে হয় তোমার মাথার উড়–নি
পাপড়িরা মেলে ডানা কেনো আজ; নির্বাক ফুলকুড়–নি।
নিঃশ্বাসে ছোটে ফুলের গন্ধ জান্নাতি হুর সম্মুখে
চোখের পাতায় কথা কয় আজ সুখদ ছড়ানো সুখে
মুখ তুলে চায় নিষ্পাপ হাসি চোখ তুলে চোখে চোখে
এ ভাষার মানে বুঝিনি তো আগে মন কাঁদে শোকে শোকে।
শোকের পানিতে সুখ ভাসে শুধু শীতল পাটিতে নেমে
চাহনির খেলা খেলে যায় শুধু পলকেই থেমে থেমে
দুজনার মন অজানা তিথিতে মিশে যায় মোহনায়
প্রকৃতির রূপে রূপ ঢেলে দেয় নয় শুধু গহনায় ।
কাছের অতিথি আরো কাছে আসে দুজনায় ভালোবেসে
রাত হাসে শুধু পূর্ণিমা রাতে দুজনার কাছে এসে।