হেমন্তের সোনালি আলোর নিচে,
পৃথিবীর শিরায় শিরায় ঘুরে বেড়ায় এক রহস্য।
প্রতিটি শেকড়েই লুকানো কালের গভীরতা—
প্রদীপের আলো যেন এক আকাশ ছোঁয়া ব্যথা,
হারানো প্রিয়জনের নিঃশব্দ হাঁটাহাঁটি
এই নির্জন মেঠোপথে, যেন কেবল এক ছায়া।
পাশের বাঁশবনে গুমরে ওঠে বিষধরের বিষণ্ণ ছোবল,
কৃষকের হাতে প্রদীপ জ্বলে আর অমোঘ মৃত্যুর ডাক।
এখানে রাতের কালিমায়, কালি পূজার প্রতীক্ষা
আরো গভীর হয়, অন্ধকারের মাঝে আলোছায়ার লড়াই।
আকাশ প্রদীপের মৃদু কম্পনে কাঁপে মাটির হৃদয়,
একটাই অনুরোধ—শুধু পথ চিনে ফেরার।
প্রিয় জনেরা হারায়, তবুও বেঁচে থাকে হৃদয়ের রন্ধ্রে
আকাশে হেঁটে হেঁটে খুঁজে ফেরে পরিচিত উঠোন,
প্রদীপের আলোর মত, ছোট্ট নিশ্বাসের মত তারা জ্বলে,
যেন এক করুণ সিম্ফনি, যেটা মৃত্যুকেও পরাভূত করে।
কিন্তু সাপের ফনা, তার বিষের ছোবল,
স্মৃতি কিংবা আত্মার শেষ আশ্রয়—
সবই যেন এক রহস্যের গোলকধাঁধা,
জীবনের শেষে যে প্রশ্ন আসে—
প্রদীপের আলো কি শুধু প্রহরের পথ দেখায়,
নাকি সে আলো জন্ম দেয় নতুন ভালোবাসার,
একটা মৃত্যু থেকে অন্য জীবনের পারাপার?
এই পথে, যেখানে নদীর কালো জলে
চাঁদের আলো খেলে যায় নিঃশব্দে,
শিয়ালের হুক্কাহুয়া কণ্ঠস্বর যেন
মৃত্যুর ওপার থেকে আসা প্রিয় স্বর,
একটাই প্রার্থনা—
আমার প্রদীপের আলোয় ফিরে এসো।