সকালে হরিপদকে (কাল্পনিক বাবুর্চি )
ডেকে বলবো ' আজ নাস্তায় অমলেট খাবো।
পরদিন বলবো আজ খাবো মামলেট '।
তুমি যা ভাবছো তা নয়।
আসলে আমি অমলেট আর মামলেটের
পার্থক্য বুঝিনা।
শহরের নামি-দামি পোশাকের শোরুমে
গিয়ে বলবো ক্যাজুয়াল কালেকশন দেখান।
সব দেখে বলবো এবার ফরমাল ড্রেস আনেন।
তুমি যা ভাবছো তা নয়।
আসলে ছেড়া,ফাটা,পট্টি মারা পোশাক
পরতে ভালো লাগেনা।
মাঝরাতে বাড়ি ফিরে টিংটং করে
কলিং বেল বাজাবো।
হরিদাস(কাল্পনিক ভৃত্য )এসে দরজা খুলতেই
তার গায়ে হেলে পরবো।
সে দরদ মাখা কন্ঠে বলবে ' বাবু আজও '!
তারপর আমার হাত তার ঘাড়ে রেখে
ডুপ্লেক্স বাড়ির (কাল্পনিক)সিঁড়ি বেয়ে আমাকে
পৌঁছে দেবে দোতলার শোবার ঘরে।
পরিপাটি করে সাজানো বিরাট বিছানায়
জুতো সমেত হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে পরবো।
এরপর তোমার অধ্যায়।আমার পায়ের জুতো
খুলে গায়ে চাদর টেনে দেবে।
তারপর আমার এবং আমাদের অধ্যায়।
তুমি যা ভাবছো তা নয়।
আমি ড্রিংক করে আসবোনা।
আগামী ম্যারেজ অ্যানিভার্সারি বেশ জমিয়ে
তোমার ইচ্ছামতো পালিত হবে।
বাবুকে ভর্তি করা হবে তোমার পছন্দের স্কুলে।
তুমি যা ভাবছো তা নয়।
কোন লটারি জিতিনি।
অনিশ্চিত সম্ভাবনার কথা ভেবে বিশ টাকায়
লটারির টিকিট কাটতে গিয়ে বাবুর নিশ্চিত
হাসিমুখের জন্য চকলেট কিনে এনেছি।
আমাদের গড়পড়তা জীবনে
স্বপ্ন দেখার নাম বিলাসিতা।
আমাদের আটপৌরে সংসারে
'ভালোবাসি' নামক শব্দের উচ্চারণ আদিখ্যেতা।
আজ না হয় তোমার জন্মবার্ষিকীতে
সেই বিলাসিতা আর আদিখ্যেতার মাঝেই
জোস্না ভরা রুপালি রাত (সত্যিকারের)
কাটিয়ে দিলাম।
তুমি যা ভাবছো তা নয়।
যা বলছি তা সত্যি!