আমাদের ফুরিয়েছে যে বেলা;
সেদিনের সাঁঝে
যখন ঘরে ঘরে উলুধ্বনি,
শঙখ ঘন্টা বাজে
উঠোনের একপাশে দেবালয়, তার
দেয়ালে রাখা পুরনো কাঠের তাক
কুপিবাতির উজানমুখী ধোঁয়ায়
টিনের চালায় জমা ঝুল,কালসিঁটে দাগ
কিছুতেই ভ্রুক্ষেপ নেই।
উৎফুল্ল বাতাসে থরথর কাঁপে দীপশিখা
আগুনের আঁচ ভুলে শিখার দুপাশে
দু'জোড়া চোখ, পেরিয়ে পরিখা
হারিয়েছে দূর সমুদ্দুরে, গহীনের বনে,
কাশবনের দোলায়, শিউলিতলে
ভোরের আলো ফোটার ক্ষণে।
আমাদের বিষণ্ণ বেলা বলে ছিল না কিছুই।
আমাদের ফুরিয়েছে যে বেলা,
আসবেনা আর কোন দিন
কতোকাল হয় নি দেখা,
চোখে রাখা হয়নি চোখ; যেন দূরবীন
এখন নেই কূপি বাতি, সাঁঝের মায়া
চারপাশে জ্বলে থাকা এত আলো
এত আলো যেন আমূল পুড়িয়ে যাচ্ছে
পোড়া ভিটে, দেবালয় ধোঁয়ায় কালো
বাতাসে বাতাসে ভাসে পোড়া ঘ্রাণ,
স্বপ্নেরা গুটিয়েছে পাততাড়ি
তীব্র দহন মাঝে জেগে থাকা আমি
যেন এক ভয়তাড়িত শ্মশ্মানচারী!