তোমার দু’ফোটা রক্তে যদি বাঁচে একটি প্রাণ,
রক্ত লেখা থাকবে জেনো, তোমার এই অবদান।
কেন ভয় পাও সূচের ব্যথার, আর পেয়ো না ভয়,
রক্তদানের মাধ্যমেই তোমার মানবতার জয়।
আঠারো বছর পেরোলেই হোক তোমার রক্তদান,
রক্তদানের পূণ্যেই হোক জীবনের জয়গান।
বাঁচিয়ে রাখবো মুমূর্ষুদের দুফোটা রক্ত দিয়ে,
জীবনের জন্য রক্তদান এই শপথ নিয়ে।
তুচ্ছ নয় যে রক্তদান, প্রাণ বাঁচাতে রক্ত চাই,
থ্যালাসেমিয়ার রোগী যত, তোমারই বোন, তোমারই ভাই।
তাঁদের জন্য রক্ত দিয়ে, তাঁদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে,
রক্তদানে এগিয়ে এলে, মানবতা বাঁচবে তবে।
প্রসূতি মা রক্তশূন্য, রক্ত চাই তাঁদের জন্য,
এগিয়ে আসুন রক্তদানে, অর্জন হোক কিছু পুণ্য।
হিন্দু মুসলিম সব ধর্মেরই রক্ত সমান লাল,
তবুও দেখি ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের আকাল।
আজকে তোমার রক্তদান হয়ে যাক স্মরণীয়,
জেনে নেওয়া যাক রক্তদাতাদের কী কী করণীয়।
ভরা পেটে ভাত খেয়ে রক্তদান নয়,
রক্তদানের আগে একটু জল খেতে হয়।
অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেলে রক্ত দেওয়া যাবে না,
সুগার, প্রেসারের ওষুধ খেলে, তাঁদের রক্ত নেবে না।
রক্তদানের আগে ডাক্তারী পরীক্ষা নেওয়া হবে।
সেই পরীক্ষায় উতরে গেলে তবেই রক্ত নেওয়া হবে।
তাই তো বলি, সুস্থ সবল আছো যতদিন,
রক্তদানের পুণ্য তোমার প্রাপ্য ততদিন।
আজ থেকেই শুরু হোক নিয়মিত রক্তদান,
তোমার রক্তে রোগী বাঁচুক, বাঁচুক হাজার প্রাণ।