সহজ পাঠে তোমার সাথে প্রথম পরিচয়
বয়স তখন কত হবে, পাঁচ কিংবা ছয়।
তার পর ফি-বছরে তোমার সাথে দেখা,
সব ক্লাসের পাঠ্যবই-এ থাকতো তোমার লেখা।
কবিতা, ছড়া, নাটক কিংবা রম্যরচনা,
কিছুতেই পাইনি খুঁজে তোমার তুলনা।
পরশমণির ছোঁয়া পেয়ে মোদের ভাষা শিক্ষা,
তোমার সুরেই বঙ্গবাসীর সুর সাধনার দীক্ষা।
তোমার বাণী, তোমার লেখা, তোমার গানের সুরে
অমর হয়ে থাকবে তুমি মোদের হৃদয় জুড়ে।
রাখির বাঁধনে ভুলিয়েছিলে ধর্মের ভেদাভেদ,
রাখিবন্ধন আজও চলেছে, পড়েনিকো তাতে ছেদ।
দেশপ্রেমের মরা গাঙে আনলে জোয়ার তুমি,
তোমার কলমে স্বাধীন হলো মোদের ভারতভূমি।
বাংলা ভাষাকে জগৎসভায় শ্রেষ্ট আসন দিলে,
বিশ্বলোকে চেতনার রং তুমিই ছড়িয়েছিলে।
আপন মনের মাধুরী মিশায়ে এঁকেছিলে তুমি ছবি,
দেশ ও কালের সীমানা পেরিয়ে তুমিই বিশ্বকবি।
তোমার রচনা চির শাশ্বত চির আধুনিক তুমি,
সার্ধশত বছর পরেও তাইতো তোমায় নমি।
শত-শত বছর পরেও রবে তুমি অমলিন,
তোমার চিন্তা তোমার চেতনা রয়ে যাবে চিরদিন।
কিন্তু কবি বং-এর যুগে বাংলা ভুলেছি মোরা,
তোমার গানে সুর চড়িয়েছে স্বর বদলেছে ওরা।
নব প্রজন্ম টেগোর পড়ে ইংরাজি অনুবাদে,
তোমাকেও শেষে পড়তে হল প্রাশ্চাত্যের ফাঁদে।
পাইনা ভেবে তোমায় নিয়ে কেন এত কাটা-ছেঁড়া,
স্বাধীনভাবে রচনা করতে কিছুই পারেনা এরা!
নিন্দুকেরা যে যাই বলুক, যতই তোমায় কাটুক ছিঁড়ুক,
জানি তুমি থাকবে অমলিন।
চির শাশ্বত তোমার রচনা, তোমার চিন্তা, তোমার চেতনা,
রবির কিরণে রয়ে যাবে চিরদিন।