‘রক্তদান জীবন দান’ কথাটা খুবই দামি।
এই কথাকেই জীবনের পণ করেছি আমি।
আমার মত অনেকেরই এই নেশাটি আছে,
ড্রাকুলা নামেই পরিচয় মানুষ জনের কাছে।
ভ্যাম্পায়ার, রক্তচোষা, অনেকে বলেন জোঁক,
গায়ে মাখি না এসব কথা, বলে বলুক লোক।
কেউ ডাকে না অনুষ্ঠানে, রক্তদানের ভয়।
পাছে একটা রক্তদান শিবির করতে হয়।
ক্লাব হোক বা পুজো কমিটি, দাবী সবার কাছে,
এই মাসে ব্লাড ব্যাঙ্কের ফাঁকা ডেট আছে।
আপনাদের অনুষ্ঠানে একটি শিবির করুন,
ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত নেই, শূন্যস্থান ভরুন।
সবাই বলে, পাগল বটে, রক্তদান নিয়ে,
বিয়ে বাড়িতেও রক্তদানে হাজির সেথায় গিয়ে।
অন্নপ্রাশন, শ্রাদ্ধ বা জন্মদিনেও যাওয়া চাই,
যদি রক্তদান শিবির করে কিছু রক্ত পাওয়া যায়।
এত শিবির চারিদিক, আরো রক্ত চাই।
এত রক্ত যাচ্ছে কোথায়, প্রশ্ন করে সবাই।
কেউ ভাবেন ডাক্তাররা নাকি রক্ত খান,
দুঃশাসনের মত তাঁরা করেন রক্ত পান।
ডায়ালিসিসের পেসেন্ট আর থ্যালাসেমিয়ার রোগী,
রক্ত যাদের নিত্য লাগে তারাই ভুক্তভোগী।
চাহিদা বেশি, যোগান কম এমন ধারা হলে,
আলপটকা কমেন্ট করে সবাই যাবে চলে।
চাহিদা ও যোগানের দ্বিধা ও দ্বন্দ,
এই তত্ত্বে রাজ্যজুড়ে অনেক শিবির বন্ধ।
এ দেশের বুকে আঠারো আসুক রক্তদানের পুণ্যে,
সবাই এলে রক্তদানে, অভাব নামবে শূন্যে।
শিক্ষিত জনগণেরও আজ রক্তদানে ভয়,
এই ভয়কে আমাদের করতেই হবে জয়।
আসুন সবাই নিয়মিত করি রক্তদান,
রক্ত দিয়ে বাঁচিয়ে তুলি মুমূর্ষুর প্রাণ।