আমি কন্যাশ্রী, আমি ভাগ্য লিখি নিজের হাতে।
আমি প্রগতি, আমি এগিয়ে চলি সবার সাথে।
আমি দিন বদলের স্বপ্ন দেখি বিশ্ব জয়ের,
আমি দশভূজায়  বিনাশ করি অবক্ষয়ের।
আমি অমানিশা রাতের শেষে ভোরের আলো,
আমি আপন মনের মাধুরীতে জ্বালি আলো।

কন্যাশ্রী, কুঁড়ি থেকে ফুল হওয়ার স্বপ্ন বিলাস,
কন্যাশ্রী, অনাদরের এগিয়ে চলার সেই অভিলাষ।
কন্যাশ্রী, কিশোরী মেয়ের এগিয়ে চলার আলোক লতা।
কন্যাশ্রী, শরৎ বাবুর ‘সাধারণ মেয়ে’-র কথকতা।
কন্যাশ্রী, যুগের খাতায় মেয়েবেলার গল্প বলে।
কন্যাশ্রী, লড়াই করে সমুখ পানে এগিয়ে চলে।
কন্যাশ্রী, সচেতনতার বাতিঘর আজ চলার পথে।
কন্যাশ্রী, অভ্রভেদী বিজয় কেতন জীবন রথে।

যে কন্যারা হারিয়ে যেতো অন্ধকারে,
তাঁরা আজ স্কুল কলেজের ক্লাসঘরে।
বাল্যবিবাহ আর নয়, সে বড় অভিশাপ,
কুঁড়িতে  বিনাশ করা জেনো মহাপাপ।
কন্যাশ্রী স্বপ্ন দেখার সোনার তরী,
এসো আজ সবাই মিলে শপথ করি।
কন্যাশ্রীরা জীবন যুদ্ধে হোক জয়ী,
অসুর দমনে তাঁরা হোক রনংদেহী।
কন্যাশ্রী দশ হাতে দশ অস্ত্র ধরে,
অশুভ শক্তির সাথে লড়াই করে।

কন্যাশ্রীর বিশ্বজয়ে গর্ব মোদের,
কন্যাশ্রী মার্গদর্শন জীবন বোধের।
কন্যাশ্রীর আলো আজ ঘরে ঘরে,
কন্যারত্ন হয়ে বিরাজ করে।
এসো সেই রত্নদের রক্ষা করি,
কন্যাশ্রীর সুরক্ষিত জীবন গড়ি।