মা আসছেন দোলায় চেপে কৈলাশ ধাম থেকে,
ভয় লাগছে মহামারীর, পঞ্জিকার লেখা দেখে।
পাঁজিতে আছে দোলায় এলে মহামারী হয়,
মনে পড়ে যায় করোনাসুরের হাড় কাঁপানো ভয়।

মায়ের এবার গজে গমন, প্রচুর ফসল ফলবে,
চাষির ঘরে লক্ষ্মী এলেই তাঁদের দিন চলবে।
শস্যপূর্ণ বসুন্ধরা, মাঠভরা ধান এটাই চায়,
বাঁচুক চাষী ঘরে ঘরে, মা লক্ষ্মী যেন পুজো পায়।

মা আসেন ফি বছরে, বরাভয় তিনি করেন দান,
আগমনী গান শুনে জেগে ওঠে সকল প্রাণ।
কাশ ফুটেছে নদীর পাড়ে, শিশির রেখায় শিউলি ঝরে,
শরৎ মেঘের আনাগোনায় মায়ের কথাই মনে পড়ে।

সবার স্কুল ছুটি এখন, পড়াশোনায় আর বসে না মন,
সারাদিন কাটে প্যান্ডেলে, ভাল্লাগেনা ঘরের কোণ।
ঠাকুর দেখে ফোসকা পায়ে, নতুন জামার গন্ধ গায়ে,
কালো কালো মাথার সারি, আগে-পিছে, ডাইনে-বায়ে।

রেস্টুরেন্টে বড্ড ভিড়, সামনে দেখি বিরাট লাইন,
হেলমেটহীন বাইক পথে, কেউ মানে না ট্রাফিক আইন।
ট্রেনে বাসেও বাদুর ঝোলা, এত মানুষ পথে ঘাটে,
পুলিশদের নেই অবসর, পথেই তাঁদের দিন কাটে।  

পকেটমার থেকে সাবধান, সামলে রাখুন সব কিছু,
তাঁরা কিন্তু ভদ্র বেশে ঘোরে আপনার পিছু পিছু।
বাচ্চাদের সামলে রাখুন, হাতটা ধরুন শক্ত করে,
ভিড়ের মাঝে ভদ্র বেশে ছেলে ধরাও ঘোরে ফেরে।
ভক্তি ভরে মায়ের চরণে অঞ্জলি দিন অষ্টমী,
কদিন নাকি ছাড় থাকে কিশোর বেলার দুষ্টুমিতে।
বড় হওয়ার হাতে খড়ি, দুর্গা পুরনোর এই চার দিন।
এই কটি দিন বাড়ির শাসনে একটু খানি ছাড় দিন।

চালচুলোহীন ঘরেও পুরনোর খুশি ছড়িয়ে দিন,
পথ শিশুদের গায়ে নতুন জামা জড়িয়ে দিন।
তাঁদেরও ইচ্ছা করে গায়ে মাখতে পুরনোর খুশি,
মা দুর্গার আগমনে সবার মুখে ফুটুক হাসি।