ওড়নার গন্ধ বুক পকেটে রাখা আছে,
গোল্লাছুটের দেশে তোমার পিছু পিছু ছুটছি
সেই কবে থেকে..
আমার জানা নেই কোন গাছের আবডালে লুকিয়ে আছে শৈশব,কোন ঝুমকো লতায় বানানো তোমার কানের দুল..
আসলে আমার কোন নিজস্ব গাছ নেই,
নেই নিজস্ব ছায়া,
কেনই বা থাকবে !
পড়ন্ত বিকেলে এক রাখাল মেঠো পথ ধরে হারিয়ে গেছে বন্যার বছর,আমার স্বপ্নের মধ্যে সে আসে রোজ,দাঁত বার করে খিল খিল করে হাসে,আমার কানে বেজে ওঠে তার গান,মন খারাপের বিষণ্ন ক্যাসেট..
কোথাও একসঙ্গে এক লক্ষ বিষণ্ন মানুষ কেঁদে ওঠে,কোথাও একসঙ্গে হাসে এক ঝাঁক পাগল..
আমি চেয়ে থাকি ফ্যালফ্যাল করে
অচেনা লোক গুনি আর খাতায় লিখি..
আমার কোনো নিজস্ব মানুষ নেই,নেই নিজস্ব পোশাক যার কানুনে তোমার সিঁদুর,যার নিয়মে তোমারই সোহাগ..
সেই কবে থেকে তোমার বুকের পরশ লেগে আছে ঠোঁটে,বারে বারে পিছু ফিরে চাই ধাপ্পা হওয়ার ভয়ে,কোন দেওয়ালের কোন আধারে লুকিয়ে আছো তুমি ?
দেওয়ালে কান পাতি,ভেসে আসে ফিসফিসানির ছেলে বেলা টুকি দি,টগরী পিসি,ঝরু,প্রসেন,স্বরূপ আর তুমি,কেবল তুমি,একদম নিজস্ব তুমি..
দেখি সঞ্জয় দের কল তলায় দাঁড়িয়ে চোখ বুঝে গুনে যাচ্ছ এক দুই তিন চার..
অস্পষ্ট রাখাল লুকিয়েছে ঝোপে নয়নতারাত..