বছর চারেক পর বৈশাখ মাসে আমি একবার যশোর যাবো,কাঁটা তার ডিঙিয়ে এক লাফে,
ওপারের বাংলায় ...
কি যেন নাম ! হুম ডুমুরিয়া ,পূর্বপুরুষের গ্রাম ,
রঙ্গ দের বাড়ি বললেই চিনে যাবে সবাই ..
ইন্দুমতি থাকবেনা জানি ,
তার ছেলেবেলার বুড়ো বট গাছ টা থাকলেই হবে ...চোখবুজে আমি তার মতো করে ভেবে নেবো পাঠশালা ,হাট বার, স্ট্রিমার ঘাট ,মেঠো পথ ধরে হেটে নেব অনন্ত বিকেল।
ধর্ম যখন মানব রচিত,কোন মহাজন আটকায়..আমায় ?
রঙ্গবাড়ি খুঁজে পাবোনা জানি,
দোর খুলতেই দেখা দেবে নদীমা ..
আমায় ডেকে খাওয়াবে তার বাসায় ,
ডাল ভাতে তার চোখে নেমে আসবে স্নেহরাত ,
ক্লান্তির রাজভোগে মুখভার আনে ,বরং
ইছামতীতে বিকেল নামলে বড়শি নামাবো দুইজন , একটা দুটো মনের ব্যথায় কেটে যাবে বিষাদ..
তারপর চাঁদপুর চলে যাবো ,পুকুরের লোভে , দুচোখ ভোরে দেখে নেবো বাম দিকটা ,সোনালী ধান ক্ষেত আর শাপলাবন ,ডান দিক টা তো দেখেছি অনেক..
দেশ,মহাদেশ ,রাজ্য ,গ্রাম ,গঞ্জের হিসাবে
ভাগা ভাগী গেছে কত মাঠ, ঘাট,বিল পথ..ভাগ করেছি পাখিদের ঠিকানা কত ,
এক নদীর বুক জুড়ে পুঁতে দিয়েছি হাজার পেরেক তারকাঁটা দিয়ে বদলেছি নাম গঙ্গা থেকে পদ্মা ।
যে বৃক্ষের একধার গেছে ডান দিক ,বাম দিকে আরেক ধার ,তার নিচে জিরিয়ে নেবো নদীমা,
কলার পাতায় মুড়িয়ে এনে দিয়ো কুয়োর জল..
ইন্দু জানেনা ইতিহাস,
তার ছিল ফেলেআসা বাম দিক উনুন ভিটা আর পরিবার ।
নদীমা জানে কী পাল্টে দিতে পারি পরিচয় তার যখন তখন ?
ত্রিশ বছর আগে এসে তার মায়ের কোল পাল্টে দিই যদি !
টেনে নিই যদি ডান দিকে তাকে !
©সুমন