হে গাছ,
তোমার জরায়ু তে যারা আগুন দিয়েছিল,
পুড়ে মরেছে সবকটা আজ ভোরবেলায়,
স্তনে যে পেরেক পুঁতেছিল তার ছেলে মরলো ট্রাকের তলায়..
আমার পাঁজরে একখানি বীজ পুঁতে দাও এইবার,
আমার বুকে নুনের কৌটো সেই কবে থেকে,
কতকাল আমরা বৃষ্টিতে ভিজিনি..
কতকাল শুনিনি কোকিলের গান,
টগরী পিসি বলেছিল তার নাকি গাছ আছে,
একদম নিজের..
যে গাছ তাকে চুমু খায়,বুক খুলে দেখে আবডালে..

আমারও তোমাকে অনেক কিছু দেখানোর আছে
আমার বুকে হাত বোলালেই ঝরে পড়ে গুঁড়ো নুন
ত্বকে সদ্য গজানো খসখসে ঠেস মূল
ডাইরির ভাঁজে রাখা শতক শুকনো ফুল..

হে গাছ,হে সুন্দরী
তোমার সাথে ঘর বাঁধবো বলে রাত জেগে শিখেছি
সালোকসংশ্লেষ,সংবহন
বীজ এবং অঙ্কুরোদগম এর ধারাবাহিক জীবনযাত্রা,মৌমাছির সহবাস..

হে গাছ,
আমার কোমরের নীচের নাভিমূলে তোমার জন্য স্রোত এনে দাও,
আমার গায়ে হেলান দিয়ে তুমি খানিক বৃষ্টি এনে দাও..
এই লবনাক্ত বুকের ওপর তোমার ওই আশ্চর্য মলম লেপে দাও..