আয়নার ভেতরে দীঘল চোখ জুড়ে ওঠা আর নামা,
তোমাকে ছুঁই আবার ছুঁই না,ও বুকে শুই আবার শুই না !
নরম অভিমান মেখে হেসে ওঠে দেবদারু,
পিছু পিছু ছুটে আসে কবেকার ফিসফাস..!
অপেক্ষা করো কিছু দিন,যা সব ক্ষমা ঘেন্না না হয় জমুক,না হয় খেলে বেড়াক তেপান্তরে আগাম,অঘ্রানী সন্ধ্যায়।
ক্ষুধার্ত শিশুর মুগ্ধতা গলায় ঢেলে দেওয়া একটি চুম্বন..নয়তো ছোবল ঠোঁটের তিক্ততায়।
আবেগে আবেগ আসে,কতক শোক হাসে,শীত তাপে বোরোলিন,একটুকরো গাল ছুঁয়ে থাকো না Please সারাদিন..
ও শৈশবের পোড়া দাগ বেয়ে নেমে আসে কোকোনাদ আমাদের আবেগী আস্তানায়,তোমাকে নগ্ন করার আগে সারাজীবন কাটাতে পারি হাসপাতালি বিছানায়..
কিভাবে অপেক্ষা করো তুমি ?
এই অপেক্ষায় ঈশ্বর ছিলোনা কোনোদিন,একটা ভাঁজ করা আমলকীবন বুকের মাঝে লুকিয়ে ডাল পালা ছড়িয়ে দিয়েছো কেবল !
অনর্গল হাত পেতে কুড়িয়েছি নিকষ সন্ধ্যে কেবল !
অথচ আমাদের একটা লুকোনো বারান্দা আর খানিক জমানো গল্পের ছাদ আছে,
আমরা তা ছুঁই,মাঝে মাঝে কান্না জমাই..
অথচ,
আমাদের কয়েকশো বিরহের গাছ,আর একখানা স্নেহের নদী আছে..
নরম বিছনায় ডুবে যেতে যেতে সে নদীর বুকে আমরা আঙ্গুল চালাই..
©সুমন