একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র হঠাৎ খসে পড়ল বিশাল সম্ভাবনাময়তার আকাশ থেকে ভোর রাতে
যখন এই জগৎ ঘুমিয়ে ছিল নিদ্রা সুখে।
তার অপরাধ ছিল এইটুকু সে তার কাজ কে ভালোবেসে ছিল
বড়ো ডাক্তার হতে চেয়েছিল সে মানুষের সেবা করব বলে।
মায়ের আঁচলের মত বিশ্বাস করেছিল কাজের জায়গাটি কে।
ঠিক যেমন ভাবে ক্লান্ত শিশু ঘুমিয়ে পড়ে মা এর কোলে
সেও তেমনি ঘুমিয়ে ছিল নির্দ্বিধায় নিঃসন্দেহে
একটি সুন্দর সোনালী সকালের অপেক্ষায়। কিন্তু
কে জানত হিংস্র হায়নার নজর পড়েছে তার উপর?
কে জানত অভিমূন্যের চক্রবূহ তৈরী করেছে নিশাচর পশুর দল
সেই অভিশপ্ত রাতের শেষ প্রহরে জানোয়ারের নৃশংস থাবার শিকার হতে হলো তাকে। রক্তের করুনধারা বয়ে গেল সেমিনার কক্ষে। মানুষের ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগাবে বলে সে হয়েছিল হাড়ের ডাক্তার অথচ ধর্ষকের পাশবিক অত্যাচারে তার শরীরের প্রতিটি হাঁড় ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।
নিশুতি রাতের অন্ধকারে যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে তার দুচোখের স্বপ্ন গুলি ডুবে গেল চিরতরে।।