রাখাল জীবন
           সুমন রঞ্জন সেন
          23/06/2020

ভোরে ভোরে গ্রামের পথে হেঁটে চলি মাঠে,
গরুর পালের পিছে পিছে সকাল বেলা কাটে।

চলাফেরায় খেয়ে ফেলে গাছের কত পাতা,
মাঠে গিয়ে খেতে থাকে কচি ঘাসের মাথা।

দুপুর বেলা রবি মামা পুরোপুরি মাঝে,
গাত্র থেকে ঘর্ম পড়ে মন লাগে না কাজে।

গাছের নীচে একা বসে ভাবি কত কথা,
বাঁশি বাজাই মধুর সুরে জেগে ওঠে ব্যথা।

ঘৃণা করে কত জনে সহে চলা তবু,
শত কষ্ট হৃদে থাকে বলি না যে কভু।

অশ্রু ঝরে আনন ভিজে তাহা ভাবি যখন,
কর্মফলে হয়তো কান্না এমন ভাবনা তখন।

ক্ষুধার জ্বালা লাগে যখন হৃদয় থাকে ক্লান্ত অল্প অন্নে জ্বালা মিটে এবার কিছু শান্ত।

কাদা বালি লেগে থাকে পুরো আমার গাঁয়ে,
অস্ত গেলে  ঘরে ফেরা হাঁটা খালি পায়ে।

সারি বেঁধে সবার গরু বাড়ি বাড়ি দেওয়া,
এমন কর্মে চলছে জীবন অর্থ কিছু পাওয়া।

ঘরে গিয়ে ধৌত হয়ে খেয়ে ঘুমে পুরু,
ভোরে দিকে জেগে ওঠে কর্ম আবার শুরু।