তোমারে যেন চাহিয়াছি শতাব্দীর দীর্ঘ রজনীতে,
নানা রূপে, নানা ছন্দে, রহিয়াছ তুমি হৃদয়ও গভীরে।
যুগে যুগে জন্মে জন্মে বুনিয়াছি সুধার উপমা,
সৃষ্টির বিচিত্র সাজে ঘিরিয়া রাখিয়াছি তোমা।
কত কালের কত প্রেমে লভিয়াছি অনন্ত মিলন,
বিধ্বস্ত প্রাণে জাগিল আবার সেই চিত্ত হরণ।
প্রাচীন স্মৃতির পটে আঁকা সেই প্রেমের সমরে,
মমো অন্তরতমা সুদূর অতীতে, গাঢ় তিমিরে।
নির্বাক শূন্যে ভাসে সুর, অজানার তীর হতে ছুটে আসে,
অশ্রুসিক্ত প্রেমের বাণী, নির্ঘুম নিশীথের ঢেউয়ের ত্রাসে।
আমরা দুজন বহিয়াছি অনন্তের সেই অজানা স্রোতে,
অজর প্রেমের উৎস হতে যুগল হৃদয়ে বাঁধা পথে।
নিঃসীম বিরহের জলে মিলনের আবেশ ঝরে,
অনাদিকালের সেই প্রণয় লহরি বয়ে চলে নিরন্তরে।
কোটি প্রণয়ের মলিন যাতনা হৃদয় করে লেপন,
প্রাচীন প্রেমে নূতন সাজে ফিরে আসা দিবা স্বপন।
বিশাদ প্রেমের বেদনাবিধুর গানটি হলো বুঝি শেষ—
তোমারি পদতলে সমর্পিত চিরকালের অশ্রু রেশ,
বিশ্বের সুখ দুখ প্রেমের সেই মহাসমর্পণ,
একপ্রেমে মিশে গেল সর্বকালের গীত, মহারণ।