দুঃখের দোলায় ভাসে প্রাণ, সে জীবন শতবারে,
বেদনার সুরে বাজে বাঁশি, গহন নিশীথ আঁধারে।
ফুলে ফুলে জ্বলে দীর্ঘশ্বাস, পল্লবের রং ফিকে,
স্মৃতির ছায়ায় অশ্রু মাখা জীবন ঢাকে।
নদীর ঢেউয়ে লুকায় ব্যথা, গোপন অশ্রুর স্রোতে,
বুকের অন্তঃস্থ গাঁথা, সে কাঁদে নির্জন রাতে।
জ্যোৎস্নার আলোয় যুথিকা হাসে, সে কি সুখের গান?
নাকি অশান্ত হৃদয়ের ব্যথা, ছলনা মুখোশ তামান?
সাত মহলে জ্বলে প্রদীপ, চন্দনের ঘ্রাণ বহে,
সুখের মালা গাঁথে মালিনী, রূপের বাগানে গহে।
তবু অন্তঃস্থ এক সাপ, বিষে মাখা তার হাসি,
পাকে পাকে আঁকড়ে ধরে, স্মৃতি যেন এক গ্রাসি।
বাসরের ঘরে ফেলে এসেছি পোড়া ধূপের দাগ,
তবু স্মৃতির সুরঙ্গ পথে শোনে হৃদয় রাগ।
ফোয়ারা গাহে মেঘের গীতি, ঝর্ণা দেয় যে স্নান,
সুখের নটী ঝড়ে যায় শেষে, স্মৃতি জাগায় ঘুমন্ত প্রাণ।
হে সময়! তোর বক্ষ ভেদে খুঁজি শান্তির ঠাঁই,
তবু স্মৃতি! তুই যে বিষাক্ত মেঘ, জ্বলন্ত ছায়া সেই।
তবু কি সুখের অভিসারে, মানুষ পথিক হয়?
নাকি স্মৃতির শঙ্খনাদে, হারায় প্রাণের তবোধয়?
জীবন, তোরি অঙ্গনেতে সুখ-বিষাদের খেলা,
তবু স্মৃতির পিছু হেঁটে, দুঃখে হাসে হৃদয় মেলা।