নিস্তব্ধ প্রান্তরে দাঁড়িয়ে আমি,
বিক্ষিপ্ত ভালোবাসার মোহনায়,
ঝড়ে ভাঙা ডালপালা হয়ে
জীবনের স্রোতে ভেসে যাই।
তোমার চোখে ছায়া দেখি,
প্রাণের সব আবেগের ঘনীভবন,
নিস্তব্ধতার মাঝে শুনি আমি
অনন্তের গভীর আর্তনাদ।
তুমি কি জানো, কেমন করে
এই পাথরের বুকে নদী বয়?
শত সমুদ্র পার হয়ে,
উন্মুক্ত মরুতে জলরাশি মরে।
তবুও একাকী দাঁড়িয়ে আছি,
অবিরাম প্রতীক্ষার আকাশে,
তুমি এসে ধ্রুবতারা হয়ে
আঁকবে কোন প্রাচীন ছন্দ।
তপ্ত মরুর বুকে খুঁজছি ছায়া,
পাথরের নিথর বুকে রেখেছি আশা,
তুমি এলে, নিঃশব্দে বলবে কি
একটু শান্তি, একটু ভালোবাসা?
অধীর সন্ধ্যায় যদি ফোটে
নবীন কোন শান্তির ফুল,
তোমার স্পর্শে সজীব হবে
আমার জাগ্রত হৃদয়, নির্ঝর।
এই কবিতার মূলভাব হলো প্রেম, সংগ্রাম, এবং জীবনের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার পর মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া শূন্যতা ও নির্জনতার অনুভূতি। কবি এখানে মানব জীবনের অন্তর্গত যন্ত্রণা ও নিঃসঙ্গতার চিত্র তুলে ধরেছেন, যা একজন ব্যক্তি প্রেম এবং জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার পরও পূর্ণতা বা শান্তি খুঁজে পায় না।
"দাড়িয়ে বিক্ষিপ্ত ভালোবাসার প্রান্তরে;
ঘাত প্রতিঘাতে হলে নিথর!
আমি শত সমুদ্র আর উদ্যান পেরিয়ে;
তপ্ত মরুতে একখণ্ড পাথর!"