কেউ যদি বলতো ভালোবাসা কি?
আমি বলবো বৃক্ষ।
কেউ যদি বলে বিরহ কি?
আমি বলবো ঘুড়ি।
কেউ যদি একটি নদীর নাম জিজ্ঞেস করে?
আমি বলবো অশ্রু।
ভালোবাসার ধু ধূ মরুতে আমি চলন্ত মরুজাহাজ!
দেয়ালের আড়ালে ছিল কেহ ছিলনা এ সমাজ!
রত্ন পাথরে পা।
ভাসিয়ে দিলে গা!!
নীলাদ্রির আকাশে শঙ্খ চিল।
হৃদয়ের ইন্দ্রজালের শুভ্র নীল!!
হাতের কাকন, নুপুরের ঝন ঝনি।
মৃদু সুগন্ধ মন মানবীর কানাকানি!!
বাতাসে উড়ন্ত এলো কেষ।
নাকফুলের উজ্জল রেশ!!
চির উড়ন্ত ভালোবাসার প্রতীক।
তাইতো ঘুরি ফিরি দিক বিদিক।
হৃদয় পিঞ্জরে যত্নে রাখিয়া প্রেমের মালা!
ভালোবাসার কুঠিরে খোলা জানালা।
গোলাপ পাপড়ির বিছানা!
সংহিত রাজহংসের ডানা!!
অমৃত জলে কুলকুচি।
পক্ষী ছানার কিচিমিচি!!
সন্ত সাগরের ঢেউ।
নীরবে জানবেনা কেউ!!
প্রেমের অস্ত যাওয়া সূর্য।
হৃদযন্ত্রে নিঃশ্বাসের কর্য!!
আমার কাছে প্রাক্তন প্রেম।
তোমার কেবল শুরু!!
তোমার চলে যাওয়ার ধূসর প্রান্তর, আমার নির্বাক তাকিয়ে থাকা।
আর তুমি দেখালে আমায় নির্মমতার করুন ইতিহাস!
সেদিন একটিবারো তাকাওনি, দেখোনি আমার হৃদয় কত্ত ফাঁকা।
মালতিলতা-পাতা আর প্রজাপতিরা করছে পরিহাস!
আমি মরণের তেপান্তরে অপেক্ষিত, রইবো হয়ে সমুদ্রের কীটপতঙ্গ।
আমি ভেসে যাবো জলোচ্ছাসের বানের জলে।
নেই তব আমার তরে কিঞ্চিৎ অনুরাগ, নিশুথীর হৃদয় করিয়া ভঙ্গ।
তবুও অতৃপ্ত অপেক্ষা তুমার, গলে জড়াবো বলে।