তুমি বহিয়া নদীর মত, ধরায় মাধুরী মেখে,
কখনো মায়ের বেশে, কখনো বধূর স্নেহে।  
অজানার গালিচায় অন্ধকারে আলোর গল্প,
নিরব ত্যাগের দুঃখের সঙ্গীনী করিয়া সংকল্প!

সন্তানের মঙ্গল, স্বামীর কল্যাণে মেশা রক্ত,
তুমি চাওয়া-পাওয়া রেখেছো স্থান পরিপক্ত!
তুমি মায়ের রূপে, মেলিয়া স্নেহের আঁচল,
মুর্হ-মুহূর্তে দুর্গম পথে, অসিমতার ক্রমচল!

বধূর রূপে তুমি সংসারের আলোক জালি,  
তোমার মমতায় ঘিরিয়া শুদ্ধের শপথ বুলি।
কখনও কল্যাণময়ী, দাঁড়াইয়া পুরুষের পাশে,  
কোমল হৃদয়ে কতো সহ্য, হইয়া জীবন নাশে!

কষ্টের ঐ গল্প নিভৃতে হারায় নিশুথির পথে,  
বোঝে না কেহ সেই অশ্রুজলের মায়া রথে।  
তবুও তুমি নিরবে, অন্ধকারে জ্বালিয়া আলো,  
নারী! তুমি যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে নির্বিঘ্নে চলো!

বাধা এ সমাজ আর দানব রূপী পুরুষত্বে,
সব ত্যাগ আজ জলাঞ্জলী, অজানা সত্বে!
বলিদান দাও, নিজেকে করিয়া নিঃশেষ,
ওহে নারী!
কেনো এই সমাজে তুমি আজও নিঃস্ব!
বীরাঙ্গনা তুমি নিরব সাক্ষী জানে বিশ্ব!

এ দোয়ারের তালায় জাগে মম চিত্ত!
শ্রদ্ধার স্মারক তুমি ফেলিয়া অর্থ বিত্ত!