মানব মঙ্গলই ধন, নহে অর্থের গর্ব,
তুচ্ছ সে বৈভব, যার বিলাসিতায় হর্ব।
অর্থের পাহাড় গড়ি, কি লাভ শেষে,
যদি নাহি জ্বলে, মানবতার ওই দেশে?
জীর্ণ সমাজ ভেঙে, গড়ে তুলি মহল,
যেখানে ত্যাগে হয়, মনুষ্যত্বের সফল।
ব্যক্তি স্বার্থে অর্থ, হয় না পূর্ণ কভু,
যা পূর্ণতা আনে, তা মঙ্গলের বিভু।
মহামানব দেখায় পথ, সে আলোকিত,
যতটুকু ছিল তার, মানবপ্রেমে উদিত।
অতিরিক্ত সঞ্চয়, সমাজ করে ক্ষতি,
অতঃপর নিজেই ভোগে তার বিপতি।
ঐশ্বর্যের জনম কেবল, মঙ্গলেরই তরে,
ত্যাগেই বহে উচ্ছ্বাস, কাঙালের ঐ ঘরে।
সদা সৎ পথে, ব্যয় কর তব অর্থ তুমি,
তবেই পাইবে খুঁজে, মানুষের অন্তর্যামী।
এই ক্ষুদ্র কবিতা খানা তাদের উৎসর্গ করিলাম, যাহারা গড়িয়া তুলেছেন অর্থ আর প্রাচুর্যের পাহাড়। অথচ তাহারা নিজেরাও জানে না কোথায় কতটুকু অর্থ জমাট আছে?
আমি তাহাদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাই, এখনই সময় এসেছে এ প্রাচুর্য আর অর্থ বিলিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর!
যাহারা একই পৃথিবী, একই রক্ত, একই স্রষ্টার সৃষ্টি।