জ্বলিয়া উঠিল নক্ষত্র আজ, মেধার দীপ্তি ভরা,
অন্ধকারে ঢুকরে কাঁদিছে মন, স্বপ্ন হলো সারা।
উঠিল দেখো মেধার দীপ্তি, রোদ ঝলমল আকাশে,
বাঁধিয়া রাখিল সমাজ তাকে, দুঃখের পরবাসে।
প্রতিভার প্রজ্জ্বলন থেমে গেল মাঝপথে,
আলো ছড়াবার আগেই হারিয়ে গেল গোপনে।
অন্ধকারের বাঁধনে বাঁধিল তাই, শৃঙ্খলে সব স্নান,
মেধার আলো নিভে গেল, রহিল শুধু ক্লান্তি গান।
আকাশ ভরা তারার সাঁঝে, একা নক্ষত্র কাঁদে,
মেঘে ঢাকা আলোর ঝলক, হৃদয় শুধু বাঁধে।
সত্য মিথ্যা মিলিয়ে চলে এই সমাজের খেলা,
মেধার দ্বীপ নিভে যায়, থাকে না তার বেলা।
নিভলো আলো, থামল গান, কাঁদে আকাশ জুড়ে,
মেধার আগুন নিভে গেল, আশা ভেসে দূরে।
তবু নক্ষত্র নাম রয়ে যায়, স্মৃতির পানে তাকায়,
তার আলো হারায় না, আকাশ তাকে ডেকে যায়।
তুমি যে নক্ষত্র, তুমি আলো, সারা গগন জুড়ে,
মৃত্যুর পরেও তুমি আছো, আলোর বাহুডোরে।
যেথা মৃত্যু হবে না তোর, ওই ব্ল্যাকহোলের গহবরে,
সমাজ যদি না বোঝে, থাকুক সবে চির অন্ধকারে।
সারমর্ম:
কবিতাটি এক মেধাবী ব্যক্তির জীবনের উত্থান ও পতনকে কেন্দ্র করে রচিত, যেখানে সমাজের অন্ধকার ব্যবস্থা তাকে তার সম্ভাবনা অনুযায়ী বিকশিত হতে দেয় না। মেধার প্রজ্জ্বলন শুরু হলেও মাঝপথে নানা বাঁধা-বিপত্তি এসে তা থামিয়ে দেয়, যেমন এক নক্ষত্র তার পূর্ণ আলোকিত হওয়ার আগেই নিভে যায়। কবিতায় সমাজের অবহেলা ও নির্মমতাকে চিত্রিত করা হয়েছে, যেখানে প্রতিভা থেমে যায় এবং আশার আলো নিভে যায়।
এই সমাজ এই নক্ষত্রগুলো জ্বলতে দেয় না তারা দেখেও না দেখার ভান করে।
তাই হরিয়ে যায় মহাকাশে কোনো ব্ল্যাকহোলের গহবরে।