যখন জগৎ সরে যায় ধীরে,
চঞ্চলতার বাঁধন খুলে,
তখন আমি ডুব দিই একাকিত্বে—
এক নিঃসঙ্গ নদীর প্রবাহে।
যেখানে নেই কোনো কোলাহল,
কেবল শূন্যতা, আর নিঃশব্দে ফেলি চরণ।
অন্তরের গভীর অতলে বাজে
এক সুরেলা নির্জনতার বীণ।
নির্বাক মেঘেরা ভেসে আসে,
রৌদ্রহীন আকাশের বুক জুড়ে।
গভীর নিঃশ্বাসে বুকটা ভরে উঠে,
মনে হয়, এই তো শান্তি, এই তো ধ্যান।
অতীতের ছায়ারা ঝরে যায় পলকেই,
ভেজা চোখে জমে থাকা অভিযোগগুলোও।
স্মৃতির ধ্বংসাবশেষে গড়ে তুলি
নিঃসঙ্গতার এক সারিবদ্ধ সমাধি।
সেখানে আমি বিলিয়ে দিই নিজেকে বহুবার,
নিজের 'আমি'কে খুঁজে পাই নতুন করে।
প্রেম, অভিমান, ব্যথার অলিন্দ,
সব হারিয়ে ফেলে কোনো এক অতলে।
পাহাড়সম ভার যেন গলে যায় নদীতে,
তৃষ্ণার্ত বুক ভরে উঠে মুগ্ধ নির্জনতায়।
তোমার কাছে কি সে অনুভব এসেছে কভু?
একা থাকা মানে নয় দুঃখের শোক,
এ তো এক অন্তর্গত মুক্তির ডাক।
একে আঁকড়ে আছি ভালোবাসার মতো,
দেখো, কেমন বদলে গেছে শুন্য জীবন।
জানো! একাকিত্বই কখনো কখনো—
বেঁচে থাকার সবচেয়ে বড় উৎসব,
কোনো আসক্তি নেই!
চারিপাশে ঘুরে বেড়ায় কেবল শূন্যতা।