বহু পথ, বহু রথ পেরিয়ে দাড়ালাম এক অদ্ভুত শহরে!
নামটাও জানিনা, নামহীন শহরে কাটছে দম বন্ধ প্রহর।।
শহরটা বড্ড অপরিচিত, অলিতে গলিতে নেই পরিচিত মুখ!
পায়ের পাতা ফেলছি আর খুঁজছি কোনো এক পরিচিত সুখ!
এই শহরে চা-দোকানে চায়ের কাপে জমেনা কোনো আড্ডা!
রেস্ট্রুরেন্ট আর কফিশপে প্রচন্ড ভিড়, শুনেছি বন্ধের দিন নেই।
ভালোবাসার লাল গোলাপফুল গুলো বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে!
অবাক হলাম! একটাও চাকরির বিজ্ঞাপন নেই, অজানা কামে।
একাকীত্বে হাঁটতে হাঁটতে অনুভব করলাম, আমিই শহরে একা।
নেই এখানে ভালোবাসার কোনো মানুষ, চারিদিক নিস্তব্ধ আর ফাঁকা।
নেই কবিতার খাতায় ভালোবাসার চিত্র, নেই হাসিমাখা পথচারী!
নেই প্রকৃতির ছোঁয়া, পাখিরা তাই গাফুলিয়ে করছে উড়াউড়ি।
যেখানে একাকিত্ব সবার বন্ধু, সেখানে ভালোবাসার মূল্য কি করে থাকবে।
অতঃপর ভাবলাম এত কিছু ডিঙিয়ে কেউ যদি বলতো! আমার সাথে যাবে।
এই শহরে তুমার কষ্ট হচ্ছে না? বলতাম আমি!
হয়তো কারোর সেই সময়টাই আর হয় না!
থাক, এভাবেই ভালো আছি বেশ, কাউকে বলা যায়না।
শেষ রজনীতে বের হলাম কালো নীরবতার সৌন্দর্য ভোগ করতে!
কঠিন শহরের কোমল সৌন্দর্যে, ভাবলাম পারতাম যদি উড়তে?
অপরূপ ভয়ঙ্কর সুন্দর একটা শহর, বুঝিবার সামর্থ্য হয়নি কারও!
হয়তো এখানকার লোকেরা এই সৌন্দর্য দেখেনি একটিবারও।
সেজন্যই হয়তোবা মানুষজন যেন দেয়ালের মতো কঠিন।
পেছন থেকে কে জানি মিষ্টি কণ্ঠে বলল শুনছেন নাকি;
শুনেই আমি পেছনে তাকিয়ে দেখলাম একটি ছায়ামূর্তি!
তাকিয়ে রইলাম অপলক, চোঁখের পাতা এক করতে পারছি না।
এই শহরের নাম জিজ্ঞেস করলো আমায়!
আমি মৃদু হেসে বললাম নামহীন শহর!
হয়তো তখন শহরে একখানা নাম দেওয়া যেত।
হঠাৎ কেঁপে উঠলাম,
দেখি আমি শুয়ে আছি এক শহুরে জানালায়।