চাকুরির শুরুতে যেনো,
আলো ঝরে রৌদ্র হাসে,
মনে আশা, বুকের বাঁধন—
স্বপ্ন আসে মোরে ভাসে।
পদে পদে পুষ্প ফোটে,
সুন্দরী সে কর্মদ্বারে,
অঙ্গনে তার নিত্য-নৃত্য
মনে স্বপ্ন নিত্যস্মারে।

কিন্তু ওই হায়! অন্ধকারে
জ্বলে দাহের মশাল জ্বাল,
চাকুরির এই মায়ার জালে
বাঁধল আমায়, ক্ষয় তামাল।
হাতের গুঁড়ো গুঁড়ো সোনা,
স্বপ্ন দেখি রঙিন প্রহর—
পথ হারালো, মন কাঁদালো,
কাজের বেড়ি পড়ল গহ্বর।

কত শস্য জমি ছিলো,
মাথার ভেতর হেমন্তের ধান,
চাকুরির এই ঘূর্ণিজালে
সব হল মোর ভস্মভূমি খান।
মেধার শিখা ম্লান হল,
মাথার ঘরে ঘন আঁধার—
জেলখানার এই কর্মভূমি,
নিত্য পুড়ে মোরই চর।

তবু ওরে, তরুণ প্রাণ,
পথ হারাসনে অন্ধকারে!
এই জেলখানার ঠোক্কর খেয়ে
উঠে দাঁড়াস, আসবে জ্বরে!
চুরে ফেল সব মিথ্যা বেড়ি,
তুমি মুক্তি আনবে ঘরে!
তোমার ভেতর আগুন লুকানো,
নাও জ্বালাতে এই জ্বরে।

নাহি আর ভয়, নাহি সংশয়,
ভাঙ সব গণ্ডি, মুক্তির পায়!
তোমার মেধা, তোমার শিখা—
আলোক হবেই জগতের ধায়।
চাকুরির এই মায়ার বেড়ি,
ভেঙে ফেল সব, মোরই ভাই,
মুক্তি তোর, শক্তি তোর—
নিরন্তর পথ খুঁজে যাই!