হে পূরুষ, তুমি কি জানো কেমন লাগে,  
যখন তোমার অন্তরের আর্তি নিস্তব্ধ হয়?  
তুমি যন্ত্রের মতো চলা, এক পাথরের ঘড়ি,
যার কাঁটা ঘোরে টাকার অঙ্কে।

তোমার নিজের খেয়াল রাখার সময় কোথায়?  
তোমার ক্ষুধা কখনো সরে না,  
তুমি শুধু ভরাও পরিবারের খালি থালা,  
তোমার স্নেহের সুধায় ভরিয়ে রাখো তাদের,  
তবুও তুমি নিঃস্ব, সান্ত্বনা তো নেই।

ভালোবাসা আর সম্মান যেন বন্দী,  
সেই মানিব্যাগের মোহনায়।  
যখন তা ভরে থাকে,  
তোমার চারপাশে জ্বলে উৎসবের আলো,  
তোমার সম্মান রক্ষা হয়, সবাই মেতে ওঠে।

কিন্তু হায়, যখন ফাঁকা হয় সেই পকেট,  
তখন যেন ধুলোতে মিশে যায় সব আশা,  
তুমি হয়ে যাও অপমানের পাত্র,  
লাঞ্ছিত আর নির্যাতিত, নিঃস্ব এক প্রাণ,  
অর্থহীনতায় ভুগে, সম্মান হারায়।

তবুও তুমি থেমো না, হে যোদ্ধা,  
হেরে গিয়ে তোমার অন্তরে জ্বলে এক আগুন।  
তুমি প্রমাণ করতে চাও—  
তোমার যন্ত্রণার রক্তক্ষরণ,  
তোমার আত্মার কান্না,  
যাতে ত্যাগের সম্মান সঞ্চিত থাকে।

সামনে যদি চীনের মহাপ্রাচীর,  
তুমি ভেঙে এগিয়ে যাও,  
সাহারা মরুভূমির তপ্ত বাতাস,  
আটলান্টিকের উত্তাল ঢেউ,  
কিংবা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির বিস্তীর্ণ পথ—  
তোমার সাহস অদম্য, সব বাধা পেরোবে।

তুমি কি জানো, হে নায়ক,  
তুমি জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি,  
তোমার হৃদয়ের ভেতর লুকানো আগুনে,  
তুমি প্রস্তুত, পুড়িয়ে ছাই করে দেবে পৃথিবী,  
যদি তাতে ভালোবাসা অর্জন হয়।

কিন্তু দিনশেষে, যখন অর্থের যোগান নেই,  
তখন কেঁদে ওঠে তোমার অতল গহ্বর,  
তোমার ছেঁড়া জামা-কাপড়ের আড়ালে,  
লুকিয়ে থাকে এক নিঃস্ব বীরের হতাশার নিঃশ্বাস,  
অর্থহীনতায় ভাসতে থাকে তুমি।

তুমি কি তা অনুভব করো, হে মানব?  
তোমার যন্ত্রণার মাঝে,  
তোমার ত্যাগের মাঝের তীব্রতা,  
তুমি হয়ে ওঠো এক অনির্বাণ শিখা,  
যে শিখা জ্বলে, জ্বালায়,  
অবশেষে নিভতে জানে না,  
কেবল ভালোবাসার আশায়,  
তুমি লড়াই করো, যুদ্ধে ঝাঁপাও,  
তোমার হৃদয়ের সেই তৃষ্ণার সন্ধানে।
হায় বিলফোল্ড!



কবিতাটিকে আরও প্রাণবন্ত ও বৈচিত্র্যময় করার জন্য এখানে "পুরুষ" শব্দের পরিবর্তে "যোদ্ধা," "নায়ক," এবং "মানব" শব্দগুলো ব্যবহার করা হয়েছে,