ওগো প্রিয়া মোর, বলি তোমায় এই দুখের কথা,
বয়স অল্প তবু ব্যথা মোর বুকেতে কত গভীর।
নিদ্রাহীন রাত্রি, চিন্তার ভার, কেমন যেনো ব্যথা!
অন্তরেতে ভরে আছে শুধু ক্লান্তি, নয় কিছু সমীর।

বাহিরেতে সুখের হাসি, মনে চাপা দুঃখ-ব্যথা,
বহে অভ্যন্তরে গোপন ব্যথার পরিপূর্ণ রঙ্গমঞ্চ।
বুকের মাঝে জমাট উদ্বেগের নির্মম শত কথা।
শান্তি কবে আসিবে, নাকি জীবনতরঙ্গে সংকোচ?

তুমি জানো বয়সটা আজ কত আর হলো?
অথচ দেখো শরীর মন দুটোই কতটা ক্লান্ত।
যেন বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে স্বপ্নের আলো,
সৃষ্টিক সত্তার দ্বারে আকুতি, কেনো আমি দিকভ্রান্ত?

দেখ প্রিয়া, আয়ু স্বল্প তবু প্রাণ ভরে কত বোঝা,
প্রাণেতে চাওয়া সুখের স্রোতে হারায়ে কত শত পথ।
চাওয়ার দ্বন্দ্বে ডুবি, কী করো এত মমতা খুঁজো,
তবু কি পাই শান্তির সন্ধান, নয় সে কোন স্বপ্নরথ।

শ্রান্ত এ দেহ, অবসন্ন মন, ভেঙে যাওয়া প্রাচীরে,
সুখের ছায়া মোর অগম্য, জীবনে ঘিরিছে বিষাদ।
তোমারে দেখিতে চাহি, সাজ সকালের দূর্বা শিশিরে।
চলিয়া জীবনের পথে, অন্ধকারে জড়াইলো অবসাদ।

বুকেতে বয়ে যায় প্রিয়, এই ক্লান্তির অগ্নি দহন,
বহু বোঝা বহিছে জীবন, এ যে নিরন্তর শূন্যতা।
স্নেহের স্পর্শ মোর চাই, শান্তির পরশে উত্তরণ,
বেঁধো মধুর আসরে, মুছাও ক্লান্তির ছায়া সকল।

তব প্রিয়মুখের মিষ্টি হাসিতে শান্তি যদি মেলে,
পাড়ি দিবো সকল বাধা, তোমারে চাই যত প্রভাত।
জীবন যুদ্ধে থামিব না প্রিয়া, তুমি সাথেই যদি থাকো,
ক্লান্তি হোক মোচন, হোক সুখের নতুন বারতা।