মম জনমের মর্ম বুঝি এই মৈর্তে নিমজ্জিত সম মাতৃ ধুলি।
দোর খুলিয়া পিছনে তাকাতে নেই, বলিছে মশাই কত বুলি।।
নির্বাক মূর্তির ন্যায় দাড়ানো মম সম্মুখে, কে আমি?
ওহ্! সেতো আমারই বৃত্তের জীবন্ত অথবা মৃত প্রতিচ্ছবি।

হয়েছিল কথা সেদিন ফেলে আসা মমো শৈশব বালকের সাথে।
বালকের প্রেমে মগ্ন মোহে কেটে গিয়াছে যুগান্তর সারথি রথে।।
চন্দ্র উদ্যানের রাজত্বে দাড়িয়ে ধরণীর আকর্ষণে ফিরিয়া পথে।
আমি আকাশচারী? নাকি কোনো নভোচারী? নাহ্! তবে কে আমি?

বিংশ শতাব্দীতে দাড়িয়ে মমো তরুণ চিত্তে রংধনুর একরাশ মায়াতে।
সেকালে রঙিন ধরণীর নৃশংসতা, সবুজকে করেছে হাজারবার ধর্ষিতে।।
রঙিন চক্ষে বাধিল দেয়াল, দেখিনি আমি ছিলুম নির্জীব, প্রাণহীন কাষ্ট।
কে আমি? নাহ্! আমি কি স্বার্থপর, হুম্ বড্ড! কি ব্যাথা বক্ষে কত কষ্ট।।

ইউরেনাসের পর্বত শিখরে দাড়ায়ে দেখলুম পৃথিবীর অশ্রুভরা দ্বৈত অক্ষি!
বিষাদের বিশ্বে সঙ্গী হয়ে জিজ্ঞাসিত মমো অন্তর্দৃষ্টি, বলো কে আমি?
গোধুলি লগ্নে ক্লান্তির ভারে নিমজ্জিতের ন্যায় হৃদয় নিংড়ানো আর্তনাদ।।
আমি অপরিমার্জিত অন্যথায় বিসর্জিত বামন কিংবা রাত্তিরে উড়ন্ত পক্ষী!!

তবে হ্যা, খুজেই পরম তৃপ্তি অনুতপ্ত অগ্নেয়গীরির বিগলিত অশ্রুর সম্য!
আমি যে নির্ভীক, অন্ধকারে আলোর পথে অগ্রসিত পঞ্চপান্ডবের দূত।।
যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকের অন্তসিমানায় খুঁজে পাবো হয়তোবা ভষ্মিত আমি!
সেদিন হয়তো অন্ধকারের দরজায় কেউ একজন ডাকবে, আমার নামধরে।।।।।।।।।