অবশেষে মরুমুণ্ডুতে সামুদ্রিক উন্মত্ততা ও বরফের কোলাহল দেখে আতঙ্কিত মহাশূন্যের অট্রহাসি!
থেমে যায় এককাঠি আগুনে অঝরে বৃষ্টি ঝরার মতোই।

ইউরেনাসের দরবারে মাথা ঠুকে কাতরায় নেপচুন;
লাজক্লান্ত-সূর্য ঢলে পড়ে অবিচ্ছেদ্য নিদ্রায়।

নিরক্ষরেখার মাঝখানটায় আড়াআড়ি পাতা কম্পন-যন্ত্রটির বৈকল্য-সম্বন্ধে সকলই ছিল অনবগত,
তাই আছড়েপড়া ব্ল্যাকহোলের শক্তিমত্তার বিষয়টি রয়ে যায় অজানা।

সন্ধ্যা হারায় নিশুথিনীর বুভুক্ষু-গহ্বরে;
এবং তলিয়ে যায় অনন্তের তলানিতে;
বিজ্ঞানের আমিত্ব উড়ন্ত ভস্মের মত ঘুরেফিরে বেড়ায় ব্রহ্মাণ্ডের আনাচকানাচে।

শীতসকালের দূর্বায় মুক্তো-ঝিলিক নেই;
গোলাপের থুবড়েপড়া পাপড়িগুলোর অপেক্ষার প্রহর ফুরায় না;
মধ্যাহ্ন পেরিয়ে গোধূলির হাতছানি,
আলোর দেখা নেই!

হয়তো এ-রাত নিরন্তর;
অথবা ভোর হবে সভ্যতার ধ্বংসা-বশেষের বুকে।
আর ইনতি-নিনতি-গুঞ্জরণে ঘুমভাঙা সূর্য দেখতে পাবে,
আলোকদস্যুরা ততক্ষণে লুকিয়ে পড়েছে আপনাস্তানায়।


কবিতাটির আবৃত্তি পাবেন কাব্যশালা ইউটিউব চ্যানেলে।