শূন্যের মাঝে আমি ভাসি, দূর নক্ষত্রপথে,  
যেনো তপ্ত মরুতে একাকী পথিক, অন্ধকারের গহ্বরে।  
তারারা খেলে যায় নীরব গানের সুরে,
আমি তবু নিঃসঙ্গ, তাদের মাঝে একা, দূরের প্রহরে।

মঙ্গল, শনি, বৃহস্পতির রক্তিম আলো,  
সেই আলোর মাঝে আমি একা, যেনো নেই কোনো কালো।  
নীলাভ নীহারিকা, ছড়াচ্ছে কুয়াশার আবরণ,  
আঁধারের বুকে বাঁধা আমায়, অনন্তের আকর্ষণ।

হঠাৎ দেখি চাঁদ, তার রূপোলি ঝলক,  
ধূসর মাটিতে সে একা, তবু জ্বলে জ্বলক।  
বিশাল শূন্যতায় তার একাকী সুর,  
যেনো মহাজগতের মাঝে সে এক নিজস্ব সত্ত্বা, অতি দূর।

চাঁদের গহ্বরগুলো বলে শতকথা,  
আঘাতে ক্ষত, তবু সে অম্লান, নিঃসঙ্গতা তার ব্যথা।  
যুগের পর যুগ, সে রইলো জ্বলে,  
অবিচল, ধীর, অসীমে একা, তবু আলোয় মাখা।

তারার আলোয় ভেসে আসে মধুর নির্জনতা,  
শূন্য মহাকাশে মেলে এক চিরন্তন শান্তি।  
তবু চাঁদের চোখে লুকিয়ে থাকে,  
আমার মতোই তার অন্তর্লীন একাকীত্ব।

অতঃপর দৃষ্টি পড়ে পৃথিবীর বুকে,  
নীলাভ জলরাশি, সবুজের আঁচল, যেনো মায়াবী আলয়ে।  
মেঘের ঘূর্ণি, বরফের চাদরে মোড়া,  
পৃথিবী ভাসছে নিঃশব্দে, মহাকাশের বিশালতায় আঁকা।

সবুজ বন, সাদা বরফ, আর নীল সাগরের তল,  
পৃথিবী যেনো এক জীবন্ত কাব্য, নিঃসঙ্গতার কল্লোল।  
তবুও দূর থেকে, সে ক্ষুদ্র আর অসহায়,  
মহাকাশের অন্তহীন নির্জনতা তাকে করছে আলোকিত।

অন্তহীন মহাশূন্যে, নিঃসঙ্গতার ছোঁয়া,  
আমি মিশে যাই মহাজগতের এক বিন্দু হয়ে।  
তারাদের মাঝে, পৃথিবীর আলোয়,  
লিখি আমি আমার একাকীত্বের গীত।