একাত্ব চিন্তাচিত্র এঁকেছি বক্ষে, আকাশে উড়াই ঘুড়ি, মোর কল্প ফানুস।
আমি দুমড়ে চলা ডিঙি নৌকা, স্নিগ্ধ কষ্টে জাগ্রত আমি অদ্ভূত মানুষ।।

আমি যেনো সমুদ্র তটে মরু সৈকত, নীহারিকার প্রদীপ তলে যাবার তরে।
আমি তীব্র বেগে ধাবমান উল্কাপিন্ড, ফিরে দেখি আমি মানচিত্রের বাহিরে।।

উন্মাদনার শিশ্ন শেখড়ে দন্ডায়মান, ভালোবাসার অন্বেষণে সুশ্রী শুকতারা।
আমি প্রতিচ্ছবির জীবন্ত দেয়াল, খুশি বিলানো পরম শান্ত বায়স্কোপওয়ালা।।

মেঠো পথে দুরন্তর মরীচিকা, আপন করিয়া প্রদিপখানা হইলো অনিঃশেষ।
ক্লান্ত, জির্ণ, শুষ্ক গলে আকি পদচিহ্ন, আলো খুঁজে ফেরা আমিই দিপোন্যেষ।।

সবুজের বুকে হাস্যরঞ্জে রঞ্জিত হরিণী, কাব্যের বাগানে ছিটিয়ে দিই মনি মুক্তা।
আমি অজেও ছন্দে সুরায়িত বংশী, কষ্টের মর্গে ভালোবাসার মুক্তোঝরা স্নিগ্ধা।।

সেদিন তুমার শম্য সঙ্গী হয়ে, নেচে গেয়ে উঠিব তৃপ্তির সারথী রথে।
ইক্ষন দেহাশ্রীতে মম ললাটে এঁকেছি চিত্র, হারায়ে গোধূলির অন্তিম পথে।

আমি সুখের সাগরে ভেসে যাই দুঃখ বিলাসিতায়, জানি না আমি কোথায় অনুভবে চোঁখ বুজে।
নীলে নিলাদৃত আকাশের নীলিমায়, শঙ্খ চিল হয়ে নীল আকাশে ভেসে নীল সাগরে নিলপদ্মের খোঁজে।

অনন্ত সুরোধন্নির সুরের মূর্ছনা, সুরতরঙ্গে সুরায়ীত সুর পল্লীর ক্ষুধার্ত আহার।
সুরকাননের পাঁপড়ি আমি, ভালবাসার কণ্ঠ তরঙ্গে বিলানো আমিই সুরের বাহার।

ধরণীর কণ্ঠে গাওয়া মম হৃদয়ের অন্তে বিস্তৃত ভালোবাসার শপ্ত ডিঙায় তুলে দেই জীবনের গল্প।।
উন্মাদনার স্বপ্নচূড়ায় বেচেঁ থাকুক আমাদের গল্প।