শিক্ষার দীপ্তিতে দীপ্যমান, তবু কেন হৃদয় পুড়ে?
মানুষের কান্না, কেন অন্ধকারে ছাইয়ের তলে মরে?
সার্টিফিকেটের আভায় যে জাতি, শিক্ষার পূজারি কেবল,
মানবতার মূলে সেখানে নিঃশেষ, হৃদয়ের ভুবনে অবল।
বৈষম্যের প্রাচীর নির্মাণ, অন্তরে করেছে আবদ্ধ,
এক পতাকায় সমবেত হয়েও, বিভেদে হলাম প্রতিবন্ধ।
চাকরির মোহে নিঃশেষ, দেশপ্রেমের প্রদীপ নিভেছে,
এই ব্যাধিতে জাতির চিত্ত, সর্বত্রই যন্ত্রণা জড়িয়েছে।
মুক্তি কোথা? সেই মুক্তি, শেকল ভাঙার উদ্যমী দীপ্তি?
আজকের শিক্ষার প্রদীপ্ত শিখায়, সমাজের কি তবে আয়ত্তি?
কেন পারলে না, ঐক্য-বন্ধনে জাতি, সংযুক্ত থাকিতে?
শোষণের উন্মাদনায়, আত্মা কেন হয় নিষ্প্রভ, বিকৃত রূপে।
তোমার শিক্ষার মুকুট, শুধু কি চাকরির মোহে বিভোর?
দেশের স্বার্থে একবারও, ত্যাগ করিলে না সত্তর অন্তর।
শিক্ষিত হয়েও নির্বোধ, একাত্মতার জ্ঞান হতে বঞ্চিত,
ভালোবাসার সুধা যদি না পেয়ো, শিক্ষার অভিশাপে বিলীনচিত।
এসো তবে আজ জাগো, বিভেদের বাঁধ ভাঙো শক্তিমানে,
একসুরে গাও মুক্তির গান, প্রেমে হৃদয় ভরে আনো প্রাণে।
জন্মভূমির জন্য আজ, এক হও, বাংলা হোক একাত্ম জনে,
হাতে হাত মিলিয়ে, গড়ো এক জাতির অভ্যুদয় সুবর্ণ ক্ষণে।
মাতৃভাষায় আজো বলি, নজরুলের বিদ্রোহে জাগো,
দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে, স্বাধীনতার শিখা প্রজ্বলিত করো।
সমতার সোনালী শিখায় জাতি হোক, এক পতাকায় আচ্ছাদিত,
ভুলে যাও দ্বন্দ্ব, গড়ো অমর বাংলাদেশের অমিত স্বপ্নজাত।