ক্ষুধার গরজে মন যে ভাঙে, কিসে সুখের গান,
কালোছায়া খেলছে দেহে, ফুরাইলো ধড়ে প্রাণ।

রক্তবিনার সুর যে উঠিলো, ক্ষুধার কলিজায়,
বিক্রি হবে লাল ক্ষত্র, পিপাসু অন্নের নেশায়।

ফুলের বিশ্রী গন্ধ মেতে ছিল, সভ্যতার চারপাশ,
ঝন ঝন করে ভূখার থলি, যেন নরকের নিশ্বাস।

আকাশ মেলেছে ডানা, কতযে সৌন্দর্যের পাঁজর,
অন্নাকাঙ্খির কোথা সে রূপ, পৃথিবী করেছে পর।

চাওয়া-পাওয়া সব লুটায় পথে, ক্ষুধার তাড়নায়,
জঠরানলে জ্বলিত উদর, শাপে ধরিত্রী পুড়ে যায়।

রাজ্য তাহার বিষে ফোড়া, রাজ্যের মালিক নাই,
জঠরানলের আকাশে উঠে, আহারে দিবে ঠাঁই।

ক্ষুধার প্রান্তরে কিসে আলো, ক্ষুধিত পীড়ায় জ্বালা,
সাধুর মোড়কে, সমাজে দেখো আহার্য দানের মালা।

যদি তুমি শুনতে পেতে, ক্ষুধার্ত প্রাণের আর্ত আকুতি,
কিঞ্চিৎ কর্ণপাতে! দিতে হয়তো আহার তাহারে,
মানুষ হয়ে রাখিয়া গেলাম ক্ষুদ্র মিনতি।

এই ধরণীর পাষাণ বুকে, অন্ন যেথা নাই,
কবির স্বপ্ন সেথায় ধুঁকে, কলমের ডালে ছাই।