বিভূই প্রান্তরে, তুমি বহ মোর বুকে,
শান্ত কলতানে হাওয়া স্মৃতির পালে,
উত্তপ্ত চরণে তাই চলি ধুঁকে ধুঁকে।
জলধারা মনে মোর, দৈন্য ঢেউ খেলে।
কল কল ধ্বনিতে বাজে না সুর স্রোতে
ঢাকার গলি যেনো নির্মমতায় মেশে,
নিত্য তাই সুরমা, নিতে বুক পেতে।
কংক্রিটে ঝোলানো দূঃখ স্মৃতির কেশে।

ফিরবো কি, হে সুরমা, তোমারই কূলে?
তোমার স্নেহের টানে ভাসবে কি প্রাণ?
তোমারি স্মৃতি বুঝি, বাজে দুলে দুলে।
দূরে তাই বাজে হৃদয় বীণার গান।
হে বরবক্র! আমি চলি তব স্মরণে,
নিরন্ত ধ্বনিতে বেঁচে থেকো ভুবনে।


বৃহত্তর সিলেটের ঐতিহ্য আর ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে ছড়িয়ে থাকা অপরূপা এ নদীর নাম সুরমা। জনশ্রুতি অনুযায়ী, রাজা ক্ষেত্রপালের স্ত্রী সুরম্যা এর নাম থেকেই এ নদীর নাম সুরমা।
আগে এর নাম ছিলো বড়-বকরো বা বরবক্র নদী। এই বরবক্রের নিদর্শন আছে প্রাচীন বাংলা সাহিত্য ও শাস্ত্রে।
ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের স্মরণে তাই সুরমা নদীকে তার প্রাচীন নাম অনুসারে কবিতার নামকরণ করিলাম।