আমার বুকের ব্যথা কেন বোঝে না কেউ,
ফুল ফোটে না ঘরে, তবু পথের ধূলি ছুঁয়ে রই।
হাঁটি, তবু থামি, ছুটে যাই সবার তরে,
নিজের শূন্য হাতের ঘর খুঁজে পাই না সই।

বাহিরের আলো, ঢেকে রাখে মেঘের ছায়া,
অসহায় এই বুক, মুছে ফেলে পুরনো ব্যথা।
তৃষ্ণার্ত হৃদয় খোঁজে নিরন্ত শান্তির মোহমায়া।
যেন এক পাগল প্রেমিক, হারায় সকল দ্বার।

হাসি মুখে দেয় সবে মিথ্যে আশাহীন শান্তনা,
পাহাড় সম বোঝা বহি, নিঃশ্বাসে কিযে যাতনা,
বুকের ব্যথা কে নিবে বরণ কবে? ওহে বোকা!
জীবনটা যেন রোদে পোড়া ধূসর মরু মৃত্তিকা।

জীবনের খেলায়, হেরেছি বহু বার, কাটিয়া তন্দ্রা,
তবু থামি না, লড়াইয়ে আছি সকাল থেকে সন্ধ্যা।
একাই পথে ছুটছি আমি, এযে অদৃষ্টের লিখা,
মনের ভিতর জ্বলছে আলো, জ্বলে নীরব শিখা।

মলিন সংসার ছাইয়ের ঘরে, হাহাকার করে মন,
চাইলাম কবে কিছু, খোজি ভালোবাসার ক্ষণ।
প্রেমের আশা ছিলো, ফিকে হলো দিন হতে দিন,
বুকের ভিতর বাজছে ব্যথায়, অনন্ত সুরের বিন।

যুদ্ধ করেছি অনেক, হার মানিনি কভু কোনো দিন,
তবু পৃথিবীর চোখে, আমি যে এক নাম নিশান হীন।
তোমাদের তরে জীবন দিলাম, আজ কেন নিরাশ?
সেই পথিক, কাঁদে আর হাসে, খুঁজে ফিরে আশ্বাস।

তবু বলবো, থামবো না, যতই কঠিন হোক মম দ্বার,
মনের আগুন নিভে গেলে, সুখের আবেশে হবে হার
নিষ্প্রাণ পৃথিবী দেখে যাবে, কতখানি সাহস রেখে,
যদি নেই শেষ শ্বাস, হৃদয় জ্বলবে নিরব কাব্য লেখে।

একথা চরম সত্য, বেঁচে আছি আমি আর আমরা,
ভালো আছি বলে পালিয়ে বেড়াই, অট্টহাসিতে ভ্রমরা।