(লেখাটি অনেকের কাছে নজরুলের বিদ্রোহী কবিতাটির মত মনে হতে পারে আমি শব্দটি ব্যবহারের জন্য। কিন্তু কবিতাটি মোটেও বিদ্রোহী কবিতার মত নয়। প্রায় দুই মাস হয়ে গেলো আমার এক রিলেটিভের উগ্র ব্যবহারে আমাকে মানুষীক ভাবে বেশ অসুস্থ করে তোলে। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে ফিরে পেয়েছি জীবন। মনের সাথে চলছে দ্বন্দ। তারি প্রেক্ষিতে এ লেখা।
খঞ্জর বাজে ঝন ঝন
কে যেন করে যায় আহ্বান।
এসেছে সময় যুদ্ধে যাবার
চোখ মুছে মুখ তোল
ঘর ছেড়ে তুই বাইরে আয়
যুদ্ধে যাবার সময় হয়েছে যুদ্ধে আয়।
শোক চাপা পড়ে গেলে আমিও
রণাঙ্গনে রণরঙ্গিনী হবো
মায়ের চরণ করবো শরণ
ধম্রু মেঘের ঘর্ষণে যদি হয় মরণ
সে মরণ হাসি মুখে করবো বরণ।
আমি শরদিন্দু,
আমি শশীকর
আমি লাল গোলাপের পাপড়ি
আমি ভালোবাসার বাউরি বাতাস
আমি নিলাঞ্জনের নীল যে।
সব কালো রং ধুয়ে মুছে যাবে
সবুজ বসনে দেখবে আমায়
হবে ভোরের সূর্য টিপ যে
শন শন শন হাওয়ার নূপুর
বাজবে আমার পায়তে ।
আমি পালের নৌকার পাল
আমি কিষাণি বধূর হাসি
আমি মাঠের অবারিত ফসল
আমি টোল খাওয়া জল ঝর্ণার
আমি হরিণ সাবকের মায়াবি নয়ন।
রূপসা শিবসা বৈরব ভদ্রা
ওরা সুখে দুখে সারথী চলার
শনির দশা শেষ হবে উঠব আমি তুঙ্গী
দোয়েল কোয়েল শ্যামা হবো আমি
আমি দুরন্ত দুর্বার তন্বী মেয়ে
আমি হীরে চুনি পান্না
আমি প্রেয়সী চোখের কান্না
আমি ঝর্ণা চলার ছন্দ
আমি শিউলি শিথিল ভোর
আমি উদাস দুপুর ক্লান্ত বিকেল।
জরা জির্ণতা নয় স্থায়ী
গ্রহনে কালের শেষে
উঠবে যে রবি হেসে
ঘর হতে আমি বাইরে যাব
ভাঙ্গনের কাল রবে না রেশ।
আমি থুরথুরে বুড় বটের ঝাফরি
আমি হাসনাহেনা মল্লিকা জুঁই
আমি বৈশাখের ঝড়ো বাতাস
আমি আঁকাবাঁকা নদী,মেঠো পথ
আমি পৌষের সোনা রোদ্দুর।
শোক চাপা পড়ে গেলে
ফের গর্জে উঠবো এই আমি
আমি যুদ্ধে যাবো, যুদ্ধে যাবো
আমি যুদ্ধে যাবো!
১২ মার্চ ২০১৮
সময় বেলা ১১.৫৫