চাঁদকে বলেছি হে চাঁদ নেমে এসো ধরণী পার
ঝরে পড়ো জ্যোৎস্না চূর্ণ হয়ে সিঁথিতে আমার,
তোমার বেনোজলে ধুয়ে যাক কালিমার ধুলো
আলোকিত হয়ে উঠুক মাধুরীময় প্রহরগুলো ।
সেই তো আছি অজস্র যুগের ভূমি কাহনিতে
হর্ষ ছাপ থাক ভেজা মুখ অপলক চাহনিতে,
তুমিতো জানো দিন শেষে ছায়া লুকায়-মায়া লুকায়
অভিযোগ ক্ষয়ে যায়; অভিমানও মুছে যায় কায়ায়।
আমাকে নিয়ে নেই কো্নো ব্যস্ততা পৃথিবীর
থাকি উদাসী নয়নে বসে তাই ভাবনায় স্থবির,
ইচ্ছের ভেলায় চেপে জীবন হারিয়ে মায়ায়
জনালার গ্রীবা ধরে আনমনে ডুবি ছায়ায়।
হে চাঁদ প্রলয় প্রহরের শেষে খুঁজো আমায়
পাবে পশ্চিমের অস্তমিত সূর্য্যের লালিমায়,
কখনো হাসবো আমি শরতের শুভ্রতা মেখে
কখনো কাঁদব নয়নে মেঘের কাজল এঁকে।
কখনো প্রজাপতি বর্ণিল ডানা ফুলের মেলা
কখনো বা মায়াবী নর্তকী রাত জীবন খেলা ,
এই বিরহী মনের গর্জন শোনেনা তো কেউ
আছে লুকায়িত কিযে ব্যথা কিযে তার ঢেউ।
তোমার জ্যোৎস্না ভেজা আঙিনার কাছে
দেখি এই ধূসর পৃথিবীটা শূন্যে ঝুলে আছে ,
নতুন পথের মানচিত্রে নীরবে দিনলিপি লেখা
এ মনের মানচিত্রে মানুষ আদতে বড় একা।
২০ অক্টোবর ২০২২