১৫ আগস্ট শোক দিবসের
রক্ত ঝরা গল্প,
জানতে হবে তোমার আমার
নয় কো এ কল্প।
১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট
দিনটি ছিলনা ভালো,
বিভিন্ন স্থানে খামাখাই উত্তেজনা
রাজধানী ছিল নাশালো।
তার পরদিন রাষ্ট্রপতি যাবেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে
কে জানত সে সময় উত্তরপাড়া
মজেছে হত্যার হর্ষণে।
সন্ধ্যা, ঘনার সঙ্গে সঙ্গেই,
সক্রিয় নিতে প্রাণ
সেনাবাহিনীর টু-ফিল্ড রেজিমেন্ট
কামানবাহী শকট যান।
ধানমণ্ডি ৩২নম্বর নিজ বাসায়
সোনালী ভোরের আশে
সপরিবারে বাংলাদেশের স্থপতি
ঘুমায় গভীর বিশ্বাসে।
ঘুমিয়ে ছিলেন জাতির পিতা
আঁধার ঘেরা রাতে
ঘাতকের দল হামলা চালায়
মহান নেতার গা-তে ।
যাঁর তর্জনি উঠেছিলো গর্জে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
৭ মার্সের সে ভাষনের কথা
সব বাঙালি জানে।
যখন ২৫ মার্চ কালোরাতে
হামলা শুরু হয়
দরাজ গলায় বলেন নেতা
কেউ পেওনা হয়।
যার যা আছে তাই নিয়ে
ঝাঁপিয়ে পড় সবে
ইনশাআল্লাহা আমাদের দেশ
দেখো স্বাধীন হবে।
বাংলা মায়ের শান্ত ছেলে
ঘুমিয়ে ছিলো ঘরে
সেই প্রেরণা বুকে নিয়ে
দামালেরা অস্ত্র ধরে।
পড়লে মনে সেই কথা
প্রাণ কাঁদে কারো,
এমন মহান নেতাকে কেউ
এনে দিতে পারো?
শ্যাম প্রকৃতির রঙিন স্বপ্ন
শেষ করেছে যারা
ওদের একদিন বিচার হবে
কেউ পাবে না ছাড়া ।
ইতিহাসের পাতায় পাতায়
যেই দিয়েছি হাত,
তাঁর কাহিনী অশ্রু ঝরায়
রাতের পরে রাত ।
শেখ মুজিবের অবদানের
নেইকো কোনো শেষ
অসীম ত্যাগ জাতিকে দিলো
সোনার বাংলাদেশ।