(কবিতা নং-৯২)
ঝকঝক জ্বলজ্বল মুঠিমুঠি তারা
রূপ তার ঝুপঝুপ দেখে হই সারা।
তারা যেন নীলিমায় খসে পড়ে হায়,
ধরা সে দেবে কি আমার কবিতায়?
কবিতারা বসে আছে তার মুখ চেয়ে
এসো না তিতিলি এই দিকে ধেয়ে।
এখানে লাবণ্য হলো স্নিগ্ধ নিরুপমা,
এখানে হৃদয়ে হৃদয় হয়ে আত্মহারা।
কবিতারা ডুবডুব ওই জলে সাঁতরায়
তিতিলির আগমনে বিরহে কাতরায়।
সিডর নার্গিস আইলা এসেছিল বলে,
সে ক্ষতের হাহাকার আজো বুকে চলে।
তুমিতো লক্ষ্মীমেয়ে ফিরে যাও দেশে
এনোনা,আঘাত মৃত্তিকায় দানবী বেশে?
ফুলে ফলে শোভিত সুন্দর এ ধরা
তোমার-ই আঘাতে হবে জ্বরজ্বরা
মহানন্দে একা বসি ভাবছি নির্ভাবনায়
তিতলি মেয়ের এরূপ কোথা শুভা পায়?
দেবো গো ফুলের ডালি তিতলি সুষমা,
ভাবছি দেবো তোমায় কবিতার উপমা।
অরূপ লাবণ্য সাহিত্যে কক্ষে সঞ্চারণ
অনাবিল দর্পে, বিমুগ্ধ পাঠক সমীরণ।
তোমাকে স্মরিয়া পাবে অমৃত চরণ,
কি গল্প কি কবিতায় বলো নির্মল বরণ।
মেয়ে তুমি চলে চাও দিগন্ত ছাড়ি
কোরোনা অকারণ এতো বাড়াবাড়ি
অনায়াসে দুয়ে দাও অন্তরে আড়ি
মুগ্ধতার সরলে দাও বহুপথ পাড়ি।
১১ অক্টোবর ২০১৮