ডায়রির সদর দরজাটায় তালা বন্ধ করে দিলাম,
তোমার কথাই রইলো, আমার সব কিছু জলাঞ্জলি দিয়ে
তোমার ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দিমাল শিশির।
দারুণ উত্তাপের কোনো অলস দুপুরে
যদি ঝরে নয়ন কোণে অঝর ধারায় শ্রাবণ,
অথবা হয় হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ
সে কথা জানবে না তুমি আর
ভোর রাতে শুকতাটা তোমাকেই দিলাম।
অপল চাতক চোখ যদি চেয়ে থাকে বিষন্নতায়
কিংবা কোনো পাখি গায়,নাম না জানা
যদি এনে দেয় স্মরণে
প্রথম দেখার সে শ্রাবণ কথা
সেই প্রথম তোমার হাতে হাত রাখা
সেই রেস্টুরেন্টে বসে
প্ররহ প্লেট থেকে পরাটা ছিড়ে খোওয়া
সেই কোল্ড ড্রিংক্সে ভাগাভাগি দৃশ্য
আর সে ছন্দে ফোটে কবিতার ফুল শতদল
ক্ষমা নয় ঘৃণা ভরে কোরো ঘৃণা
যদি আবার কোন কাক ডাকা ভোরে আমারি অজান্তে-
আমারই ফোন ঘাঙায় তোমার ঘুম
অনুরোধ ঘৃণা কোরো, ভালোবেসেছিলে যতটুকু তারো চেয়ে ঢের বেশি
তোমার ঘৃণা আমাকে করে তুলেবে আরো শক্ত আরো দুঃসাহসী।
মন কে পাশানে বেঁধে ঘাটে বাঁধা তরী অজানায় ভাসালাম
কাঁদবোনা আর কভু পিছনে ফিরে
তুমি ও ভুলে যেও
কান্না হাসির মালা পরে
যদি পিছনের স্মৃতি আসে ভাসে নয়ন পাতায়
ভুল ভেবে ছুড়ে ফেলো
রেখনা হাত কভু সময়ের ডায়রির ছিন্ন পাতায়।
১০ আগস্ট ২০১৮