জীবিকা করেছে আমায় যাযাবর
কর্মতাগিদে ব্যস্ত শহরের কোলে জীবন যাপন
সেযে বেঁধেছে কত আজব নিয়মের বেড়াজালে।
শহুরে শিক্ষিত মানুষগুলোর মত
আমার চোখেও লেগেছে আধুনিকতার ভ্রম।
বয়ে চলা সময়ের সাথে যেমন চুলে ধরেছে পাক
তেমনি শৈশব কৈশোর কাটানো বাড়িটায় ধরেছে স্যাঁতা
তবু দুহার মাঝে ভালোবাসার কমতি নেই এতটুকুও।
আলিসান চাকচিক্য মাঝে পারিনা ভুলে তারে
দিনের ব্যস্ততা শেষে ক্লান্ত বিষণ্ণ সন্ধ্যায়
অবসাদ ক্লিষ্ট মন ভীষণ ব্যকুল হয়,
ছুটে যেতে চায় নিয়ন আলোর ঝলকানি ফেলে
রাখালি বাঁশির সুরে দোলা
একঝাঁক জোনাকি আলোর কোলাহল মাড়িয়ে
অক্টোপাসের মত আষ্টেপৃষ্টে জড়ানো ক্যানভাসে।
মুহুর্তে মুহুর্তে যার প্রতিটা কোণা ভেসে ওঠে আঁখিপাতে
ভাবতে ভাল লাগে, এই ঘর,এই উঠোন,
হলুদের ক্ষেত, বাঁশঝাড়, ভাঁটবন,
ঝোঁপের আড়ালে লুকিয়ে থাকা পাখি ছানা,
টসটসে পাকা গাব, থোকা থোকা আমঝুম,
আঁধারের সাথে ভেসে আসা শিয়ালের হুক্কাহুয়া হাক।
শহর নাকি গর্ব ভরে বেঁচে থাকার ঠিকানা'
কিন্তু এখানে তো সোঁদা মাটির গন্ধ নেই!
নেই মুক্ত বাতাস,নেই তারা ঝিলমিল আকাশ!
আছে সিসাযুক্ত ঝঞ্ঝাটের রুগ্ন আবহাওয়া,।
চারদিকে কেবল দেনা-পাওনা আর
অর্থের চাওয়া পাওয়া হিসাব-নিকাশ।
মেট্রোপলিটন শহর কেবল কাজের বিনিময়ে আশ্রয় দেয়,
পারেনা শান্তি দিতে, যে পারে আমারে দিতে দু'দণ্ড শান্তি
সেতো আমার এই জির্ণশীর্ণ স্যাঁতাধরা স্মৃতির নগরে।