(অসুস্থ থাকায় দীর্ঘ দিন কবিতা আসরে আসতে পারিনি, সবাইকে খুব খুব খুব মিস করেছি

হারিয়ে গেছে গ্রাম থেকে
নবান্ন উৎসব
এখন আর গাঁয়েতে নেই
পিঠা খাওয়া রব।

খেজুর গাছে যায় না দেখা
নলি বাঁধা হাড়ি
ধান মাড়ায়ে গরু লাগে না
সে কাজ করে গাড়ি।

গোবর দিয়ে কৃষাণ বধূ
লেপেন আর উঠোন
পৌষ এলে আগের মত
চঞ্চল হয় না মন।

কোন  দেশে হারিয়ে গেল
শীত সকালের পিঠা
কোন না দেশে হারিয়ে গেল
খেজুর রসের মিঠা।

রোদপিঠে শীতের ভোরে
আর কেউ বসে খেতে
নবান্নেরই উৎসবে আর
কেউ ওঠে না মেতে।

শীত ভোরে, নেই খুশি মনে
পিঠা খাওয়ার আশে
কেউ থাকে না চাতক চোখে
মায়ের আচঁল পাশে।

মা যে যখন দিত পিঠা
অতি আদর করে
ভীষণ মজায় খেতাম পিঠা
ভীষণ  আয়েস করে।

অনেক সময় বকা খেয়েছি
অধিক খাওয়ার তরে
সেই বকুনি লাগত মধুর
বুঝাই কেমন করে।

এখন পিঠা ফুটপাতে হয়
পড়ন্ত বিকেল বেলা
পথের ধারে বসে এখন
পিঠা খাবার মেলা।

নলেন গুড়ে হয় না পায়েস
খেজুর গাছ সব মুথা
এসব কথা সব যেন আজ
শুধুই গল্প কথা।

নেই এখন সেই কুয়াশা
শীতের স্নিগ্ধ  ভোরে
বলতে পারো হারালো কোথা
সব চির তরে?

নবান্ন এলে পড়েনা এখন
নবান্নের সেই ধুম
মা চাচাদের চোখে তখন
থাকতো না যে ঘুম।

খেজুরের রস হারালো কি
চির কালের তরে
আগামী প্রজন্ম কি পাবেনা
ক্ষণ কালের তরে!! 🌸
১৯ ডিসেম্বর ২০১৮