কেমন করে আসলো একুশ, বনের পাখি জানে
সেই কথাটাই যায় শুনিয়ে ,পাখি গানে গানে,
মায়ের ভাষার জন্য যারা , প্রাণ করেছে দান
অ আ ক খ বর্ণমালায় ,গায় তাদেরই গান।
হাওড়-বাওড় বিল-ঝিলে অই, ওঠে কল তান
শহীদ তারা, তারা অক্ষয় ,অমর ও অম্লান,
আগুন ঝরা ফাগুন দিনে ,কৃষ্ণ চুড়ার শাখে
কালো কোকিল সুরে সুরে, একটা ছবি আঁকে ।
আমার মায়ের মান রাখলো , ওরা ওদের মরণে
মায়ের ছেলে শহীদ হলো যে ,ভাষার কারণে,
স্মৃতি পাতায় ভেসে ওঠে, বরকত রফিক সালাম
বিশ্বের দ্বারে মাথা তোলার, অভিজ্ঞান পেলাম।
রাতের জোনাকি ফুটায় ফুল, খুশি মানে না বাঁধ
সেই আমেজে জোছনা বিলায়, দূর গগনের চাঁদ,
এই কাহিনী কল্পনা নয় , নয় কোনো রূপ-কথা
সবুজ শ্যামল ফসল দিয়ে , মায়ের হাসি গাঁথা।
মধুর আমার মায়ের ভাষায় , লেখা বাংলার নাম
কেমন করে করবো রে শোধ, ওদের রক্তের দাম,
ওদের বুকের রক্ত যায়নি বৃথা, বিশ্ববাসি শোন
ভাষার জন্য প্রাণবলিদান, আর ইতিহাস নাই কোনো।
পাখি, মায়ের ভাষার বলছে কথা ,পড়ন্ত বিশ্রামে
বিষন্ন মন, ভিজিয়ে দেয় বর্ণমালা, বৃষ্টি যেমন নামে ,
এই ভাষা আমার শরীর, যেমন আকাশ মাটি জলও
বাংলা ভাষায় কাঁদা-হাসা , স্বপ্ন দেখার দলও।
মায়ের হাসি শ্যামল সবুজ, ফুল ফসলের মাঠ
শুভ্র আলোয় বাংলা ভাষা, প্রথম আমার পাঠ,
একে একে দিন বয়ে যায় , বন্দী ইতিহাসে
আমার মায়ের সোনার বদন , উষ্মস্রোতে ভাসে।